২০২৪ সালের মধ্যে শতভাগ জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন নিশ্চিত করতে চায় সরকার: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
Published : Saturday, 20 November, 2021 at 12:00 AM
সরকার বাংলাদেশে ২০২৪ সালের মধ্যে শতভাগ জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন নিশ্চিত করতে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।
আজ সকালে মিন্টু রোডের সরকারি বাসভবন থেকে ঊপড়হড়সরপ ধহফ ঝড়পরধষ ঈড়সসরংংরড়হ ড়ভ অংরধ ধহফ ঃযব চধপরভরপ-ঊঝঈঅচ আয়োজিত ঙহষরহব ২হফ গরহরংঃবৎরধষ ঈড়হভবৎবহপব যুক্ত হয়ে 'ঈরারষ জবমরংঃৎধঃরড়হ ধহফ ঠরঃধষ ঝঃধঃরংঃরপং রহ অংরধ ধহফ ঃযব চধপরভরপ' শীর্ষক আলোচনায় বাংলাদেশের পক্ষে টিম লিডার হিসেবে অংশ নিয়ে একথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, প্রথম মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্সে সিভিল রেজিস্ট্রেশন এন্ড ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস-সিআরভিএস ডিকেইড (২০১৫-২০২৪) এর ঘোষণা অনুযায়ী ২০২৪ সালের মধ্যে শতভাগ জন্ম নিবন্ধন এবং পঞ্চাশ শতাংশ মৃত্যু নিবন্ধন করার অঙ্গীকার করা হয়েছে। কনফারেন্সে দেয়া বাংলাদেশ সরকারের অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করে মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন ইতোমধ্যে এক্ষেত্রে অনেক অগ্রগতি হয়েছে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করছে বর্তমান সরকার।
সিআরভিএস বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০১৪ সালেই বাংলাদেশ যাত্রা শুরু করেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এসকাপের সহযোগিতায় ইউনিসেফ, ডব্লিউএইচও এবং অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীদের সাথে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, রিজিওনাল একশন ফ্রেমওয়ার্ক এবং এসডিজি কর্তৃক নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে নিবিড়ভাবে কাজ করা হচ্ছে। এসময় সিআরভিএস বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক ও উন্নয়ন সহযোগীদের এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান তিনি।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী আরও জানান, পাসপোর্ট, বিবাহ নিবন্ধন, মৃত্যু সনদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি, জমি রেজিস্ট্রেশনসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজে সব বয়সের জন্ম সনদ দরকার পড়ে। সে জন্য রেজিস্টার জেনারেল, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন অফিস জাতীয় পর্যায় হতে স্থানীয় পর্যায় পর্যন্ত জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন নিশ্চিত করতে অন্যান্য সহায়ক কর্তৃপক্ষের মধ্যে সমন্বয় ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় সরকারের উদ্যোগে ২০১০ সাল থেকে খুব সহজেই অনলাইনে ডিজিটাল পদ্ধতিতে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন শুরু করা হয়েছে। এ কার্যক্রমকে আরও বেগবান করতে অনেক উদ্ভাবণমূলক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। দেশের সকল সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ, ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এবং বিভিন্ন দেশের দূতাবাস বা মিশনসহ নিবন্ধক অফিসে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধনের কার্যক্রম চলছে। সুনাগরিক হিসেবে শিশুর জন্মের সঙ্গে সঙ্গে জন্মনিবন্ধন করা আমাদের কর্তব্য বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, জন্ম নিবন্ধন করা থাকলে একজন শিশু বা একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ বহু ধরনের সুবিধা পেতে পারেন। এছাড়া, প্রত্যেক মানুষকে সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করার সঙ্গে সঙ্গে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন তথ্যাদি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন তথা সিআরভিএসের কার্যকর বাস্তবায়নের মাধ্যমেই টেকসই উন্নয়নের অন্যতম মৌলিক নীতি দখবধাব হড় ড়হব নবযরহফদ কার্যকর করা সম্ভব হবে বলেও মন্তব্য করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী। এর জন্য দরকার আমাদের সকলের সচেতনতা।