চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে চিরকুট লিখে এক প্রবাসীর স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দুপুরে নিজ
ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার জোরারগঞ্জ থানার ৮ নম্বর দূর্গাপুর ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের শিকার জনার্দনপুর গ্রামের ছােক ভূঁইয়া বাড়িতে। গৃহবধূ ওই বাড়ির প্রবাসী মঈনুল ইসলাম রাসেলের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার। তার ৫ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
নিহতের স্বামীর চাচাতো ভাই সোহাগ জানান, রাসেল ঢাকার গাজীপুরে একটি কারখানায় চাকরি করার সময় মাহমুদাকে নিজে পছন্দ করে বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এরপর থেকে তারা স্বামী-স্ত্রী আলাদা ঘরে বসবাস করেন। পারিবারিক ভাবে বাড়ির অন্যান্য স্বজনদের সঙ্গে তেমন যোগাযোগ ছিল না। তাদের একটি কন্যাসন্তান হয়। এর মধ্যে রাসেল প্রবাসে চলে যায়। ঘরে তার স্ত্রী মেয়েকে নিয়ে একাই থাকতেন। ঘটনার দিন সকালে মেয়েকে স্থানীয় একটি স্কুলে দিয়ে এসে কোনো এক সময় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে বাড়ির লোকজন দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়।
সোহাগ আরো জানান, নিহতের স্বামী গত রাতে প্রবাস থেকে রওয়ানা হয়ে আজ দেশে পৌঁছেছেন। এখনো পথে আছে বাড়িতে এসে পৌঁছাতে পারেনি। সে আসলে তার যা করণীয় করবে।
জোরারগঞ্জ থানার এসআই জসিম উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহত গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় লাশের সঙ্গে হাতে লেখা একটা চিরকুট পাই। চিরকুটে তার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয় বলে লেখা ছিল। এছাড়া তার মায়ের সঙ্গে অভিমানের কিছু বিষয় উল্লেখ করা আছে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, পারিবারিক কলহের কারণে আত্মহত্যা করতে পারে। আমরা নিহতের স্বজন ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে এবং নিহতের ব্যবহৃত মুঠোফোন যাচাই করে আরো কিছু বিষয় জানতে পেরেছি। পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে বিস্তারিত জানা যাবে। বর্তমানে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
