ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
দেবিদ্বারে শিশু ফাহিমা হত্যা ঘাতক পিতাকে নিয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ
Published : Sunday, 21 November, 2021 at 12:00 AM, Update: 21.11.2021 1:11:29 AM
দেবিদ্বারে শিশু ফাহিমা হত্যা ঘাতক পিতাকে নিয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশশাহীন আলম, দেবিদ্বার ||
কুমিল্লার দেবিদ্বারে আলোচিত শিশু ফাহিমা হত্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মো.নাজমুল হাসানসহ একদল পুলিশ। শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় মাছুয়াবাদ ডোন এলাকার গোমতী চরের নির্জন একটি জায়গায় ফাহিমা হত্যা অন্যতম আসামী ঘাতক পিতা আমির হোসেনকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ। এসময় ঘাতক আমির হোসেন ফাহিমাকে কিভাবে পাশবিক নির্যাতন করে  হত্যা করে তা গণমাধ্যম ও পুলিশের স্বীকারোক্তি দেয়।
স্বীকারোক্তিতে ঘাতক আমির হোসেন ঘটনাস্থলটি দেখিয়ে গণমাধ্যম ও পুলিশকে জানায়, গত ৭ নভেম্বর বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে একমাত্র শিশু ন্যা পাঁচ বছরের  ফাহিমাকে বেড়ানোর কথা বলে বাড়ি থেকে  নিয়ে বের হয় ঘাতক বাবা আমির হোসেন। পরে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী তার সাথে যোগ হয় অপর চার ঘাতক লাইলি আক্তার, রবিউল ইসলাম, রেজাউল ইসলাম এবং সোহেল রানা। সোহেলের সিএনজি করে বিভিন্ন জায়গা ঘুরে সন্ধ্যায় গোমতীর চরের একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে এসে ফাহিমাকে ঘাতক বাবা আমির হোসেন প্রথমে গলা চেপে ধরে অন্য আসামীরা ফাহিমার দুই হাত ও পা চেপে ধরে। ঈমন পায়ে ছুরি দিয়ে আঘাত করে, পরে সোহেল ছুরি দিয়ে শিশু ফাহিমার পিছনে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে ক্ষত-বিক্ষত করে দেয়। রবিউল শিশু ফাহিমার যৌনাঙ্গ টেনে ছিড়ে ফেলে এবং পেট থেকে নাড়ি ভূড়ি বের করে ফেলে, এসময় শিশু ফাহিমা মৃত্যু যন্ত্রনায় ছটফট করায় ঘাতক বাবা আমির মাথা চেপে ধরে রাখে এবং লাইলি আক্তার ফাহিমার ঘাড় ভেঙে  মৃত্যু নিশ্চিত করে।  মামলার তদন্তকারী কর্মর্কর্তা উপ পরিদর্শক মো. নাজমুল হাসান জানান, এমন পাশবিক নির্যাতন করে কোন  পিতা তার সন্তানকে মারতে পারে না। এটি সারা দেশে একটি চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা। চার আসামীর রিমাণ্ড চলছে। ঘাতক আমিরকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। কিছু নমুনা জব্দ করা হয়েছে। তবে হত্যার কাজে ব্যবহৃত ছুরিটি গোমতী নদীতে ফেলে দেওয়ায় তা উদ্ধার করা যায়নি।
অফিসার ইনচার্জ ওসি মো.আরিফুর রহমান জানান, শিশু ফাহিমা হত্যায় জড়িত চারজন আসামীকে চারদিনের রিমাণ্ড দিয়েছে আদালত আজ তৃতীয় দিন চলছে। এরই মধ্যে ঘাতক পিতাসহ চারজন পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। রবিবার তাদের আদালতে তোলা হবে।
প্রসঙ্গত, পিতাকে লাইলির সাথে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলায় ৫ বছরের শিশু ফাহিমাকে গলায় ছুরি চালিয়ে ও পাশবিক নির্যাতন করে হত্যার ঘটনায় বাবাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এরই মধ্যে লাইলি আক্তার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।