ভারতের পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী ও তৃণমূলের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার পূর্ব আগরতলা থানায় বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিকেলে গ্রেফতার করা হয় তাকে।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, গাড়ি চাপা দিয়ে একজনকে খুনের চেষ্টা করেছিলেন তিনি। জামিন অযোগ্য ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানা গেছে। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের দাবি, রাজনৈতিক নির্দেশেই এই গ্রেফতার।
ঘটনার সূত্রপাত শনিবার রাতে। অভিযোগ, ভোটের প্রচার সেরে ফেরার পথে চৌমুহনীতে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সভার উদ্দেশে তিনি ‘খেলা হবে’ স্লোগান দেন, মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে কটু মন্তব্যও করেন। পাশাপাশি সায়নীর গাড়ি একজনকে চাপা দেয় বলেও অভিযোগ ওঠে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এরপর রাতেই সায়নীকে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশ যায় পোলো হোটেলে। সেখানেই ছিলেন সায়নীসহ তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু রাতে পুলিশের কাছে আইনি নোটিশ দাবি করেন তৃণমূল নেতারা। সায়নীকে থানায় নিয়ে যেতে বাধা দেন কুণাল ঘোষ।
কিন্তু রবিবার সকালে আগরতলা পূর্ব থানায় নিজেই যান সায়নী। তার সঙ্গে ছিলেন কুণাল ঘোষ, সুস্মিতা দেব। থানায় দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তৃণমূলের যুব সভানেত্রীকে। তারা থানায় থাকাকালীনই নতুন করে রাজনৈতিক অশান্তি শুরু হয় থানার বাইরে। তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষে ২ তৃণমূল কর্মী আহত হন, তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিকের গাড়ি ভাঙচুর চলে।
এসবের পর বিকেলের দিকে আগরতলা পূর্ব থানার পুলিশ সায়নী ঘোষকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে ‘হিট অ্যান্ড রান’ বা গাড়ি চাপা দিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগে ৩০৭ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই গ্রেফতারিতে ব্যাপক ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতৃত্ব।