ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
একটি ভ্রমণের সাতকাহন
Published : Tuesday, 23 November, 2021 at 12:00 AM
একটি ভ্রমণের সাতকাহনশান্তিরঞ্জন ভৌমিক ||

অষ্টম অধ্যায়
এ আমি ৩১ অক্টোবর ২০০৮, গুরুপল্লীর এক বাসায় উত্তম রায়ের সাথে পৌছি। এটা তার ভাড়া-বাসা, শান্তিনিকেতনের দক্ষিণ দিকের শেষ অঞ্চলে গুরুপল্লী নামে পরিচিত। মূলত এ পল্লীতে আচার্য নন্দলাল বসু, শিক্ষক জগদানন্দ রায়, সত্যচরণ মুখোপাধ্যায় (কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিতা), প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় (রবীন্দ্র-জীবনীকার), শিক্ষক প্রমদারঞ্জন ঘোষ, হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়, নেপাল চন্দ্র রায়, নগেন্দ্রনাথ চৌধুরী, শ্রীমতী লাবণ্য চক্রবর্তী (অজিত কুমার চক্রবর্তীর স্ত্রী) প্রমুখ বাস করতেন বলেই পরবর্তীতে ‘গুরু পল্লী’ নামকরণ করা হয়েছে।
‘শান্তিনিকেতন’ বাড়ির পাশাপাশি অনেকগুলো বাড়ি নির্মিত হয়েছিল। তার মধ্যে কয়েকটি বাড়ি যেমন- গৈরিক, সংস্কার-ভবন, দ্বারিকা বীথিকা, প্রাক্কুটীর এখন লুপ্ত। দেহলী, সন্তোষালয়, নতুন বাড়ি, বেণুকুঞ্জ, মুকুট, কালোবাড়ি এবং উত্তরায়ণের ভিতরের বাড়িগুলো ও তালধ্বজ-এখনও আছে।
‘উত্তরায়ণ’ হলো রবীন্দ্রনাথের বসবাস করার পাঁচটি বাড়ি। ছাতিমতলার উত্তর-পশ্চিমে অনেকখানি ঘেরা জায়গা জুড়ে রয়েছে বিভিন্ন আকারের এবং বিভিন্ন নামের কতকগুলি বাড়ি। উত্তরায়ণ এলাকার ভিতরের প্রধান পাঁচটি বাড়ি হলো-উদয়ন, কোণার্ক, শ্যামলী, পুনশ্চ এবং উদীচী। এ বাড়িগুলোর প্রত্যেকটিতেই রবীন্দ্রনাথ কোনো না কোনো সময় বাস করেছেন। উদয়নের পশ্চিমে ‘পম্পা’ নামে একটি কৃত্রিম সরোবর ও উদ্যান রয়েছে। এই উদ্যানের ভিতরে আছে ‘চিত্রভানু’-রবীন্দ্রনাথের পুত্রবধূ প্রতিমা দেবীর ছবি-আঁকার স্টুডিয়ো। এরই একতলায় ‘গুহাঘর’ পুত্র রথীন্দ্রনাথের শিল্পকর্মের ‘কারখানা’। এ এলাকায় ১৯৬১ সালে রবীন্দ্রনাথের শতবার্ষিকী সময়ে রবীন্দ্রচর্চার কেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠে ‘বিচিত্রা’ নামে একটি বাড়ি। এ বাড়ির পরিসর বেড়ে দৃশ্য-শ্রাব্য বিভাগ ও দ্বিতলে ‘মালটিমিডিয়া’ নামক বৈদ্যুদিক বহুমাধ্যম বিভাগের কর্মশালা স্থাপিত হয়েছে।
রথীন্দ্র-প্রতিমা, দেবীর বাসের জন্য একটি মাটির বাড়ি নির্মিত হয়েছিল, রবীন্দ্রনাথ তার নাম দেন কোণার্ক। ১৯১৯ সালে রবীন্দ্রনাথ সপরিবারে বাস করার জন্য একটি মাটির বাড়ি নির্মাণ করেছিলেন, তার নাম ‘মৃন্ময়ী’-এখন এ বাড়ির অস্তিত্ব নেই। সে স্থানে ১৯৩৪ সালে রবীন্দ্রনাথ ‘শ্যামলী’ নাম দিয়ে একটি মাটির বাড়ি তৈরি করেন। ‘শ্যামলী’ তৈরি করে রবীন্দ্রনাথ অমিয় চক্রবর্তীকে লেখেন-
‘এই আশ্রমে আমি কালে কালে নানান ঘরে বাস করে এসেছি, কোথাও বেশিদিন স্থায়ী হতে পারিনি। এবার কোণার্কের এই কোঠা থেকেও সরে যাবার চেষ্টায় আছি। মাটির ঘর তৈরি আরম্ভ হয়েছে। মর্ত্যলোকে ঐটেই আশা করছি আমার শেষ বাসা হবে। তারপরে লোকান্তর। এই মাটির ঘরটাকেই অপরূপ করে তোলবার জন্য আমার আকাক্সক্ষা। ইটপাথরের অহংকারকে লজ্জা দিতে হবে।
রবীন্দ্রনাথ বাড়িটির নাম রাখলেন ‘শ্যামলী’। ১৩৪২ সালের ২৫ বৈশাখ কবির ৭৪তম জন্মদিনে রবীন্দ্রনাথ নবনির্মিত শ্যামলীতে গৃহপ্রবেশ করেন। এ বাড়িটির ঐতিহাসিক তাৎপর্য হলো-১৯৪০ সালে গান্ধীজি ও তার পত্মী কস্তুরবা বাঈ শান্তিনিকেতনে এসে এখানে আতিথ্য লাভ করেছিলেন। এছাড়া এ বাড়িতে বিনোবা ভাবে, লালবাহাদুর শাস্ত্রী, মাদার টেরিজা প্রমুখ ব্যক্তি বাস করেছেন।
রবীন্দ্রনাথের জন্মশতবার্ষিকীতে ১৯৬১ সালে ‘বিচিত্রা’ নির্মিত হয়। তখন থেকেই এটি রবীন্দ্র স্মৃতি সংগ্রহশালা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এটাই বর্তমানে রবীন্দ্রভবন, এখন রবীন্দ্রস্মৃতিসম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ ও রবীন্দ্রচর্চার সর্বশ্রেষ্ঠ কেন্দ্র হিসেবে পরিগণিত। এ জন্য সমস্ত কৃতিত্ব দাবি করতে পারেন কবিপুত্র রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ১৯৫৩ সালে এ ভবনের জন্য রথীন্দ্রনাথের দানের তালিকা এরূপ-
১.    বাংলায় প্রকাশিত ১০২ টি রচনার পাণ্ডুলিপি;
২.    রবীন্দ্রনাথের আঁকা দেড় হাজারেরও বেশি ছবি;
৩.    রথীন্দ্রনাথকে লেখা ১৫০টি চিঠি-সহ বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনকে লেখা রবীন্দ্রনাথের পত্রাবলি;
৪.    রবীন্দ্রনাথকে লেখা সমকালীন খ্যাত ও অখ্যাত ব্যক্তিবর্গের কয়েক শত চিঠি;
৫.    রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন বয়সের চারশোরও বেশি আলোকচিত্র;
৬.    নোবেল প্রাইজের স্বর্ণপদক ও ডিপ্লোমা, চীন ও জাপান থেকে পাওয়া বিভিন্ন উপহার-সহ নানা দেশে ভ্রমণের সময়ে প্রাপ্ত রজত ও গজদন্ত-খচিত অপূর্ব কারুকার্যমণ্ডিত আধারে রক্ষিত প্রায় দুইশত মানপত্র;
৭.    রবীন্দ্রনাথের প্রাত্যাহিক কার্যাবলির বর্ণনায় পূর্ণ প্রায় পঞ্চাশ খণ্ড সংবাদপত্র-কর্তিকা;
৮.    রবীন্দ্রনাথের বাংলা ও ইংরেজি গ্রন্থের বিভিন্ন সংস্করণ।

বিদেশের দান প্রথম আসে যখন আঁদ্রে কার্পেলেস তাঁকে ও তাঁর স্বামীকে লেখা রবীন্দ্রনাথের মূল চিঠিগুলি ডিসেম্বর ১৯৪৭-এ উপহার দেন। মে ১৯৫০-এ ফরাসি চিন্তাবিদ্ রে‌্যাম্যাঁ রলাঁকে লেখা রবীন্দ্রনাথের চিঠির মাইক্রোফিল্ম রবীন্দ্রভবনকে উপহার দেন মাদাম রলাঁ। মে ১৯৫২ তে উইলিয়ম রোটেনস্টাইনকে লেখা রবীন্দ্রনাথের চিঠি ও তাঁকে ১৯১২ সালে উপহার দেওয়া এরঃধহলধষর-র পাণ্ডুলিপির মাইক্রোফিল্ম রবীন্দ্রভবনে সংগৃহীত হয়। তার অব্যবহিত পরে আমেরিকার হ্যারিয়েট মুড়ি ও
(স্বর্ণপদকটি চুরি হওয়ায় এখন একটি ডেমি পদক রাখা হয়েছে)
মেইসি এফ. সেমূরকে লেখা চিঠিপত্র ও প্রচুর ইংরেজি রচনার পাণ্ডুলিপি তাদের উত্তরাধিকারীরা রবীন্দ্রভবনকে উপহার দেন।
১৯৭০ সালের পর রবীন্দ্রভবনের কাজকর্ম ক্রমশই বিস্তার লাভ করতে থাকে। ফলে কাজের জন্য স্বতন্ত্র বিভাগও গড়ে তুলতে হয়। এই সময়েই বিচিত্রার একতলায় উত্তর-পশ্চিম কোণের ঘরটিকে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত করে রবীন্দ্রনাথের পাণ্ডুলিপি ও আঁকা ছবি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। রবীন্দ্রভবনের বিভিন্ন বিভাগগুলো হলো
১.    অভিলেখাগার ঃ প্রধান সম্পদ হল বাংলা ও ইংরেজিতে লিখিত রবীন্দ্রনাথের কয়েক শত পাণ্ডুলিপি ও ফাইল।
২.    গ্রন্থাগার - বর্তমানে প্রায় ৩০,০০০ হাজার বই ও ২০০০ হাজারের উপর বাঁধানো পত্রিকা আছে। এছাড়া রবীন্দ্রনাথের ব্যবহৃত ব্যক্তিগত সংগ্রহের বইগুলোও এখানে রক্ষিত হয়েছে।
৩.    প্রদর্শশালা - এই বিভাগে রবীন্দ্রনাথের আঁকা দেড় হাজারেরও বেশি মূল ছবি রক্ষিত আছে।
৪.    দৃশ্য-শ্রাব্য বিভাগ- এ বিভাগের সংগ্রহে টেপ ও ডিস্কে রবীন্দ্রনাথের কণ্ঠস্বরের অনেকগুলো নমুনা রক্ষিত আছে।
৫.    সংরক্ষণ বিভাগ - এ বিভাগের কাজ অভিলেখাগার, গ্রন্থাগার ও প্রদর্শশালার বিভিন্ন সামগ্রী বিজ্ঞান সম্মত উপায়ে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা। কীটের আক্রমণ থেকে পাণ্ডুলিপি, আঁকা ছবি, বইপত্র প্রভৃতি রক্ষা করা, অম্লতা দূরীকরণ, স্বচ্ছ কাগজে মুড়ে সংরক্ষণ ও বাঁধানোর কাজ । এই বিভাগেই সম্পন্ন হয়।
৬.    উত্তরায়ণ সংরক্ষণ বিভাগ - এই বিভাগ উত্তরায়ণ এলাকায় অবস্থিত রবীন্দ্রনাথ ব্যবহৃত বাড়িগুলো, সংলগ্ন উদ্যান প্রভৃতির সংরক্ষণ ও সংস্কারের কাজগুলো দেখাশোনা করে থাকে।
৭.    রবীন্দ্রচর্চা প্রকল্প- এই বিভাগটি রবীন্দ্রভবনের মূল্যবান সম্পদগুলো অবলম্বনে নিবিড় গবেষণা করে থাকে।
৮.    বহুমাধ্যম বৈদ্যুদিন প্রকল্প - এ প্রকল্পের একটি উল্লেখযোগ্য দিক রবীন্দ্রনাথের সমগ্র সৃষ্টির সংখ্যায়ন।
৯.    শব্দপঞ্জিকরণ প্রকল্প - কম্পিউটার-নির্ভর স্মৃতিতে ধরা আছে রবীন্দ্রনাথের কবিতা, গান ও নাটকের শব্দপঞ্জি।
রবীন্দ্রভবন নিছক জাদুঘর নয়, এটি একটি সক্রিয় ক্রমবর্ধনশীল প্রতিষ্ঠান। শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীর অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
১.    মৃণালিনী আনন্দ পাঠশালা - শিশুদের শিক্ষারম্ভের একেবারে প্রাথমিক স্তর থেকে (বয়স ৪ +) দু’বছর এখানে শিক্ষা দান করা হয়। এখানে বিশ্বভারতীর কর্মী, শিক্ষক এবং প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের ছেলেমেয়েরা ভর্তি হবার সুযোগ পায়।
২.    সন্তোষ পাঠশালা- পাঠক্রম, ভর্তির বয়স আনন্দ পাঠশালার মতো।
৩.    পাঠভবন (শান্তিনিকেতন) এবং শিক্ষাসত্র (শ্রীনিকেতন) - দ্বিতীয় শ্রেণী (বয়স ৬+) থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদান করা হয়।
৪.    হিন্দীভবন - এক সময় বিদ্যাভবনের সঙ্গে যুক্ত ছিল, প্রধানত রবীন্দ্রনাথের রচনাবলী হিন্দীতে অনুবাদের জন্য এই ভবনের সৃষ্টি।
৫.    বিদ্যাভবন - এক সময় স্নাতকোত্তর শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীরা পড়তেন। পরে বিজ্ঞান বিভাগ আলাদা করা হয়।
৬.    শিক্ষাভবন - এখানে সম্পূর্ণরূপে বিজ্ঞান বিষয়গুলোর পাঠদানের কেন্দ্র হয়েছে। বিজ্ঞানের অনেকগুলো শাখায় অনার্স থেকে পিএইচ.ডি পর্যন্ত শিক্ষার ব্যবস্থা আছে।
৭.    কলাভন - ভারতীয় শিল্প সাধনার কেন্দ্র।
৮.    সঙ্গীতভবন - সঙ্গীতের বিভিন্ন দিকে যাদের আগ্রহ তারা পড়াশুনা করতে আসেন। উচ্চ মাধ্যমিক পাশের পর সঙ্গীতে ডিগ্রী (চার বছর), তারপর দু বছরের এম এ পড়ার সুযোগ রয়েছে। রবীন্দ্রসঙ্গীত ছাড়া উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত, বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র, বিভিন্ন ধরনের নৃত্যকলা শিক্ষার ব্যবস্থা আছে।
৯.    চীনাভবন - এশিয়ার দুটি প্রাচীন দেশের সাংস্কৃতিক যোগসূত্র স্থাপনের উদ্দেশ্যে গড়ে ওঠে চীনা ভবন।
১০.    দর্শনভবন- দর্শনশাস্ত্র শিক্ষার প্রতিষ্ঠান।
১১.    নিপ্পন ভবন - জাপানী ভাষা ও সাহিত্য সম্পর্কে জ্ঞানার্জনের প্রতিষ্ঠান।
১২.    বিনয়ভবন - শিক্ষক-শিক্ষণ কেন্দ্র বা ই.ঞ. বা ই.ঊফ নামে পরিচিত তার শিক্ষা ব্যবস্থা এখানে রয়েছে।
১৩.    রবীন্দ্রভবন - মূলত জবংবধৎপয অপধফবসু এবং গবসড়ৎরধষ গঁংবঁস.
১৪.    অমৎড়-ঊপড়হড়সরপ জবংবধৎপয ঈঁষঃঁৎব- গ্রামীণ অর্থনীতি বিষয়ে গবেষণার এটি একটি বৃহৎ প্রতিষ্ঠান।
১৫.    বিশ্বভারতী কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার - বিশ্বভারতীর প্রতিটি বিভাগে একটি করে বিভাগীয় গ্রন্থাগার রয়েছে। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে কয়েক লক্ষ বই এবং কয়েক হাজার পাণ্ডুলিপিও আছে।
১৬.    অতিথি ভবন - শান্তিনিকেতনে একাধিক অতিথি ভবন আছ। ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকেরা, দর্শকেরা এখানে থাকতে পারেন। তবে পূর্বেই যোগাযোগ (জনসংযোগ আধিকারিকের সঙ্গে) করতে হবে।
১৭.    চিকিৎসা কেন্দ্র - বিশ্বভারতীর নিজস্ব চিকিৎসা কেন্দ্র আছে। প্রধানত ছাত্র-ছাত্রী, কর্মী এবং অধ্যাপকগণই এই চিকিৎসা কেন্দ্রের সুযোগ পেয়ে থাকেন এবং তা বিনামূল্যে।
বিশ্বভারতীর নিজস্ব উৎসব ও অনুষ্ঠান রয়েছে।
১. নববর্ষ উদযাপন ও রবীন্দ্র জন্মোৎসব; ২. ধর্মচক্র প্রবর্তন;
৩. গাঙ্গী পুণ্যাহ; ৪. বৃক্ষরোপণ ও হলকর্ষণ উৎসব;
৫. রবীন্দ্র সপ্তাহ; ৬. স্বাধীনতা দিবস; ৭. বর্ষামঙ্গল; ৮. শিল্পোৎসব;
৯. রাখীবন্ধন; ১০. শারদোৎসব; ১১. মহর্ষি স্মরণ (৬ মাঘ);
১২. দীনবন্ধু এন্ড্রজের জন্মদিন; ১৩. বর্ষশেষ;
১৪. পৌষমেলা বা পৌষ-উৎসব ইত্যাদি।

পঠন-পাঠনের সময় সূচি :
১. আবহাওয়ার তারতম্য অনুযায়ী সকাল ৬-৩০/৭টা থেকে ১১টা/১১-৩০মি. পুনরায় ২/২-৩০ থেকে ৪-৩০/৫টা পর্যন্ত। পাঠ ভবন, বিদ্যাভবনের অধীনস্থ ভবনগুলোতে সকাল ৬-৩০/৭টা থেকে ১২-৩০/১টা পর্যন্ত। শিক্ষাভবন, প্রশাসনভবন, শ্রীনিকেতন ১০-৩০ থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। সাপ্তাহিক ছুটি বুধবার। প্রতি বুধবার সকালে মন্দিরে উপাসনা হয়।
(ক্রমশঃ)
লেখক: সাহিত্যিক, গবেষক ও সাবেক অধ্যাপক
 মোবাইল: ০১৭১১-৩৪১৭৩৫