স্বামীর হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে বলে লাশ বাড়ি নিয়ে আসেন স্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন শাশুড়ি-দাদি শাশুড়িও। তবে লাশের শরীরে ছিল আঘাতের চিহ্ন। এতে সন্দেহ জাগে স্বজনদের। পরে তাদের ধরে পুলিশে দেন নিহতের পরিবারের লোকজন। এরপরই বেরিয়ে আসে আসল রহস্য। প্রেমে বাধা দেওয়ায় স্বামীকে হত্যা করেছেন তিনি। সঙ্গে প্রেমিকও ছিলেন। ঘটনাটি ঘটেছে সাভারের আশুলিয়ায়। তবে নিহত প্রতীক হাসানের বাড়ি টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার কাজলা গ্রামে। তার বাবার নাম বিল্লাল মিয়া। দুই বছর আগে পার্শ্ববর্তী ঘোনারদেউলী গ্রামের লেবু মিয়ার মেয়ে লিজা আক্তারকে বিয়ে করেন। স্ত্রীকে নিয়ে আশুলিয়ায় থেকে পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন প্রতীক।
আটকরা হলেন- স্ত্রী লিজা আক্তার, নিহতের শাশুড়ি ফাতেমা ও দাদি শাশুড়ি লাকি আক্তার। মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
সাগড়দিঘী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ বলেন, লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন লিজার প্রেমিক শাহীন। ঘটনাটি আশুলিয়া থানা এলাকার হওয়ায় লিজাসহ আটকদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় মঙ্গলবার মামলা করেন প্রতীক হাসানের বাবা বিল্লাল হোসেন।