চুয়াডাঙ্গায় চলন্ত মাইক্রোবাস থেকে লাফ দিয়ে বোরহান উদ্দিন (২১) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছে। গতকাল রবিবার (২৮ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়ার কিছুক্ষন পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত বোরহান উদ্দিন মেহেরপুর সদর উপজেলার নবগঠিত বাড়াদি ইউনিয়নের নতুন দরবেশপুর গ্রামের কাঠ ব্যবসায়ী মিয়াজানের ছেলে ও মেহেরপুর সরকারী কলেজের এইচএসসি পরিক্ষার্থী। চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়কের কুলপালা নামকস্থানে এ ঘটনাটি ঘটে।
পরিবারের সদস্যরা জানায়, চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর ইউনিয়নের ইব্রাহিমপুর গ্রামের জাহাঙ্গীরের মেয়ে পপি খাতুনের সাথে বোরহান উদ্দিনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত ২৭ নভেম্বর দুই পরিবারের অগোচরে তারা বিবাহ করে ফেলেন। এরপর সদ্য বিবাহিতা স্ত্রীকে নিয়ে মেহেরপুর সদর উপজেলার সিংহাটি গ্রামে বোরহান উদ্দিনের চাচাতো বোনের বাসায় গিয়ে উঠে তারা।
এদিকে, ওইদিন রাতে বাড়িতে না আসায় পরিবারের সদস্যরা বোরহানকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। রাতে মেহেরপুর সদর উপজেলার সিংহাটি গ্রামে চাচাতো বোনের বাড়িতে অবস্থান করছে বলে জানতে পারে বোরহানের বাবা। পরে রাত ১০ টার দিকে ওই বাড়িতে পৌঁছালে তাদের বিবাহের বিষয়টি জানতে পারে বোরহানের পরিবারের সদস্যরা।
নিহত বোরহানের মামাতো ভাই আলামিন বলেন, ছেলেকে বাড়িতে নিয়ে আসতে হবে জানিয়ে বোরহানের বাবা আমাকে ডাকে। তার বাড়িতে পৌছালে রাত ১০ টার দিকে আমি মোটরসাইকেলে এবং একটি মাইক্রোবাসযোগে বোরহানের মামাতো ভাই ও তার বাবা সেই চাচাতো বোনের বাড়িতে যায়। সেখানে পৌছানোর পর বোরহানের পিতা তাদের বিয়ে মেনে না নিয়ে বোরহানকে নিয়ে চলে আসতে যায়। পরে দুই পরিবাবের অন্যান্য সদস্যরা বোরহানের বাবাকে বোঝালে তাদের বিয়ের সম্মত জানিয়ে ছেলেকে বাড়িতে যাওয়ার জন্য বলে। স্ত্রীকে রেখে একা বাড়িয়ে যাবেনা বলে সাফ জানিয়ে দেয় বোরহান। রাতেই মাইক্রোবাসযোগে নব্য বিবাহিতা স্ত্রী পপি খাতুনকে নিয়ে তার বাবা নতুন দরবেশপুর গ্রামের উদ্দেশ্য রওনা হয়। যাওয়া পথে কুলপালা নামকস্থানে পৌঁছালে চলন্ত মাইক্রোবাসের জানালা থেকে লাফ দেয় বোরহান। এসময় সামনে থেকে আসা একটি ট্রাকের পিছনের চাকায় পিষ্ট হয়।