ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
হল ছাড়ার নির্দেশে ভোগান্তিতে কুয়েটের শিক্ষার্থীরা
Published : Saturday, 4 December, 2021 at 12:00 AM
প্রশাসনের হল ছাড়ার জরুরি নির্দেশে ভোগান্তিতে পড়েছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীরা। অনেকে বাড়ি ফেরার জন্য বাসের টিকিট পাচ্ছেন না। আবার বাসের জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষাও করতে হচ্ছে অনেকের।
শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। দুপুর দুইটার দিকে ১-২জন করে ছাত্রছাত্রী ক্যাম্পাস ত্যাগ করতে শুরু করে। বিকেল ৪টার মধ্যে বেশির ভাগ সাধারণ শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যায়। ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়ার পর বাড়ি ফেরার টিকিট নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে নগরীর ফুলবাড়িগেট এলাকায় গিয়ে অনেকেই দূর-দূরান্তের বাসের টিকিট পাচ্ছেন না। রুমানা পারভীন ও শিউলী আক্তার নামে দুই ছাত্রী বিকেল সাড়ে ৪টায় জানান, তারা দুইজন ময়মনসিংহ যাবেন, কিন্তু এখনও কোনো বাস পাচ্ছেন না।
যন্ত্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বিভাগের শিক্ষার্থী সোহরাব হোসেন বলেন, আমার বাড়ি দিনাজপুর। ট্রেনের টিকিট নেই। কীভাবে বাড়ি যাব বুঝতে পারছি না। আজ বন্ধুর মেসে থাকার চিন্তা করছি।
কুয়েটের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আর রফি ও মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘদিন আমাদের ক্যাম্পাস বন্ধ ছিল। এখন আবার ক্যাম্পাস বন্ধ করায় আমাদের লেখাপড়া বিঘ্নিত হতে পারে।
কুয়েটের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ও লালন শাহ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যু নিয়ে কয়েকদিন ধরে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সার্বিক বিষয় নিয়ে বৃহস্পতিবার সিন্ডিকেটের সভা আহ্বান করা হলেও তা মুলতবি করা হয়। পরে শুক্রবার সকাল ১০টায় ফের সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার সাড়ে ১২টার দিকে কুয়েটের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. আনিসুর রহমান ভূঁঞা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৮তম জরুরি সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইইই বিভাগের অধ্যাপক মো. সেলিম হোসেনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কার কারণে ৩ ডিসেম্বর থেকে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হলো। একইসঙ্গে বিকেল ৪টার মধ্যে আবাসিক ছাত্রছাত্রীদের হলগুলো ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হলো।