বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় আসর মাত্র শুরু হলো। অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের মধ্যকার চলতি অ্যাশেজ সিরিজও টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্ভূক্ত। অথচ এই অ্যাশেজ সিরিজ শেষ হওয়ার আগেই ৮টি মূল্যবান পয়েন্ট হারাতে হলো ইংল্যান্ডকে।
চলতি অ্যাসেজে একে তো অস্ট্রেলিয়ার কাছে লেজেগোবরে অবস্থা ইংল্যান্ডের। এরমধ্যে আবার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে মোট ৮ পয়েন্ট কাটা গেলো। স্লো ওভার রেটের কারণেই এতবড় মারাত্মক শাস্তির মুখোমুখি হতে হলো জো রুটদের।
সিরিজ শেষ হওয়ার আগে এতগুলো পয়েন্ট হারিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই চাপে পড়ে গেলো জো রুট বাহিনী। তারা এখন বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তালিকায় রয়েছে ৭ নম্বরে। সবার শেষে রয়েছে বাংলাদেশ। তার আগেই ইংল্যান্ড।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্টে স্লো ওভার-রেটের জন্য এই শাস্তি পেতে হয়েছে ইংল্যান্ডকে। আগে বলা হচ্ছিল, ৫ পয়েন্ট কাটা হবে। কিন্তু প্রকৃত অর্থে পয়েন্ট কাটা হয়েছে আরও তিনটি বেশি। অর্থ্যাৎ, মোট ৮ পয়েন্ট।
শনিবার ঘোষণা করা হয়েছিল, ইংল্যান্ডের পাঁচ পয়েন্ট কাটা হবে। প্রতিটি ওভারের জন্য ১ পয়েন্ট করে কাটা যাবে। প্রথমে হিসেব অনুযায়ী পাঁচটি ওভারের জন্য ১ পয়েন্ট করে কাটা হয়েছিল। পরে হিসেব করে দেখা যায় ৮ ওভার কম বল করেছে ইংল্যান্ড। তাই ৮ পয়েন্ট তাদের কেটে নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ অ্যাসেজের প্রথম টেস্টে হারের পাশাপাশি আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের থেকে মোট ৮ পয়েন্ট কাটা গেল ইংল্যান্ডের।
একেই অ্যাসেজে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ল্যাজেগোবরে হতে হচ্ছে। তার মধ্যে আবার আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের থেকে মোট ৮ পয়েন্ট কাটা গিয়েছে, স্বাভাবিক ভাবেই চাপে পড়ে গিয়েছে জো রুট ব্রিগেড। তারা এখন বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তালিকায় ৭ নম্বরে রয়েছে। লাস্টবয় বাংলাদেশ। আর দ্বিতীয় লাস্টবয় ইংল্যান্ড।
পাঁচটি টেস্ট খেলার পরে ইংল্যান্ডের পয়েন্ট এখন ৬। তারা একটি টেস্ট জিতেছে, তিনটি টেস্টে হেরেছে। একটি টেস্ট ড্র করেছে। তাদের জয়ের হার কেবল ১০ শতাংশ। আগেই নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য ইংল্যান্ডকে তাদের ম্যাচ ফি’র ১০০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছিল। এবার কেটে নেওয়া হল ৮ পয়েন্ট।
অ্যাসেজে প্রথম টেস্ট ইংল্যান্ডকে ৯ উইকেটে হারায় অস্ট্রেলিয়া। এরআগে ভারতের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে চার টেস্টের মধ্যে ২টিতেই হেরে গিয়েছিল তারা। একটি টেস্ট তারা জিতেছিল। ১টি ড্র করেছিল। এছাড়াও স্লো ওভার রেটের জন্যও সে সময়ে তারা শাস্তি পেয়েছিল। ২ পয়েন্ট কাটা গিয়েছিল তাদের। অর্থাৎ স্লো ওভার রেটের জন্য ইংল্যান্ডের মোট ১০ পয়েন্ট কাটা গেল।