ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে (ইপিএল) রোববার নিউক্যাসল ইউনাইটেডের মুখোমুখি হয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি। স্বাগতিক নিউক্যাসলকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে বড় জয় পেয়েছে সিটিজেনরা।এ ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে গোল করেন রুবেন দিয়াস, জোয়াও ক্যানসেলো, রিয়াদ মাহরেজ ও রহিম স্টার্লিং। দারুণ এ জয়ে কিছু রেকর্ডও করে ফেলেছে ম্যানসিটি। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো প্রিমিয়ার লিগে রেকর্ড টানা অষ্টম জয় তুলে নিয়েছে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা।
এছাড়া চলতি বছর এটি ম্যানসিটির ৩৪তম জয়। ইংলিশ লিগে এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বোচ্চ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড এটি। আগের রেকর্ডটি ছিল লিভারপুলের। ১৯৮২ সালে কোচ বব পাইসলের অধীনে ৩৩ ম্যাচ জিতেছিল অল রেডরা।
এর পাশাপাশি গতকাল এক পঞ্জিকাবর্ষে রেকর্ড ১৮টি অ্যাওয়ে ম্যাচ জয়ের কৃতিত্বও গড়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। আগের রেকর্ডটি গড়েছিল টটেনহ্যাম হটস্পারের। ১৯৬০ সালে স্পার্সরা জিতেছিল ১৭টি অ্যাওয়ে ম্যাচ।
রেকর্ড আছে আরো। চলতি বছর ম্যানচেস্টার সিটির দেওয়া গোলসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০৬টি। প্রিমিয়ার লিগে এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডও এটিই। প্রতিপক্ষের রক্ষণের দুর্বলতায় পঞ্চম মিনিটে গোলের সূচনা করেন সিটির দিয়াস। কানসেলোর ভলিতে ছয় গজ বক্সে বল পেয়ে সহজেই হেডে জালে পাঠান অরক্ষিত পর্তুগিজ ডিফেন্ডার।
এরপর ২৭তম মিনিটে চমৎকার এক গোলে ব্যবধান বাড়ান কানসেলো। একজনকে কাটিয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ২৭ বছর বয়সী পর্তুগিজ ডিফেন্ডার। বিরতির আগে ব্যবধান বাড়তে পারত আরো। তবে ভালো পজিশনে বল পেয়ে বাইরে মারেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড গ্যাব্রিয়েল জেসুস।
৬৪তম মিনিটে স্কোরলাইন ৩-০ করেন মাহরেজ। অলেকসান্দার জিনচেঙ্কোর ক্রসে ডি-বক্সে ভলিতে বল জালে পাঠান তিনি। লাইন্সম্যান শুরুতে অফসাইডের পতাকা তুললেও ভিএআরে পাল্টায় সিদ্ধান্ত। নির্ধারিত সময়ের চার মিনিট বাকি থাকতে জেসুসের পাসে কাছ থেকে বল জালে পাঠিয়ে বড় জয় নিশ্চিত করেন স্টার্লিং।
১৮ ম্যাচে ১৪ জয় ও দুই ড্রয়ে সিটির পয়েন্ট হলো ৪৪। এই নিয়ে তৃতীয়বারের মতো ‘বড়দিনে’ প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষে থাকা নিশ্চিত হলো তাদের। আগের দুবারই তারা জিতেছিল শিরোপা, ২০১১-১২ ও ২০১৭-১৮ মৌসুমে। এবারও জিতবে কি না, সেটা বলে দেবে সময়।