ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
এক মন গাঁজার ৭টি পিলার!
Published : Thursday, 23 December, 2021 at 12:00 AM, Update: 23.12.2021 12:22:44 AM
এক মন গাঁজার ৭টি পিলার!নিজস্ব প্রতিবেদক: বাড়ি বানানোর পিলার নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো অটোরিকশায় করে। ৭টি পিলার উপর দিয়ে সিমেন্ট বা কংক্রিটের তৈরী, দেখে মনে হবে কেউ নতুন বাড়ি তৈরী করবে কিংবা বাড়ি মেরামতের কাজে নেয়া হচ্ছে এসব পিলার। কিন্তু এই পিলারগুলো আটক করতেই আগ্রহ জাগে কুমিল্লা বুড়িচং থানা পুলিশের। বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের লরিবাগ এলাকায় গোপনে পাওয়া খবর অনুযায়ী ওৎপাতে পুলিশ। সেখানেই অটোরিকশা সহ আটক করা হয় দুই জনকে। পরে ৭টি পিলারকে ভাঙ্গা হয়। কংক্রিট আর রডের সাথে পিলারের ভেতর থেকে বের হয়ে আসে গাঁজা। পলিথিনের কাগজে মুড়ানো ৬টিতে ৬ কেজি করে ৩৬ কেজি এবং  একটিতে ৪ কেজিসহ মোট ৪০ কেজি গাঁজা পাওয়া যায় পিলারের ভেতর। বাড়ি বানানোর পিলারের ভেতর করে গাঁজা পাচার করা হচ্ছে- সেদৃশ্য কেউ না দেখলে বিশ্বাস করা দায়। কিন্তু সেই অভিনব পদ্ধতিই অবলম্বন করেছে মাদক ব্যবসায়ীরা।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই মাদক উদ্ধারে নেতৃত্ব দেন কুমিল্লা বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর হোসেন। তিনি জানান, ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদক পাচারে চোরাকারবারিরা নানান অভিনব পদ্ধতি অবলম্বন করে। আমরা চেষ্টা করি সেগুলোকে আটকানোর। বুড়িচং থানা পুলিশের চৌকশ চেষ্টায় এই অভিনব পদ্ধতিতে গাঁজার বিশাল চালান আটক করা হলো।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও চোরাচালান প্রতিরোধের অংশ হিসেবে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেলের নির্দেশনায় অভিযানে আরো ছিলেন এসআই বিনোদ দস্তিদার ও এসআই আবদুল্লাহ। এসআই বিনোদ দস্তিদার বলেন, গাঁজা নিয়ে আটককৃতরা হলো বুড়িচং উপজেলার লড়িবাগ গ্রামের পিতা মৃত. আবু কাউছার মিয়ার ছেলে আলাউদ্দীন (২৮) ও একই গ্রামের পিতা: মৃত. ইদ্রিস মিয়ার ছেলে ফজলুর রহমান (৩২)। তিনি আরো জানান, মাদক পাচারের জন্য চোরাকারবারিরা নানান অভিনব পদ্ধতি অবলম্বন করে। গাড়ীর চাকার ভেতর,খাবার বা ফলের ভেতর, এছাড়া পোশাকের নিচেসহ যত পদ্ধতিই অবলম্বন করুক না কেন আমরা চেষ্টা করি তাদের আটক করার জন্য এবং সফলভাবে তাদেরকে বিভিন্ন সময় আটক করে থাকি।
অপর ঘটনায়, বুড়িচং থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেনের তত্ত্বাবধানে এসআই বিনোদ দস্তিদার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭ টায় অভিযান পরিচালনা করে বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ঘিলাতলায় অভিযান পরিচালনা করে। এসময় সন্দেহভাজন এক গাঁজা ব্যবসায়ীকে ধাওয়া করলে সে দৌঁড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও ওই ঘটনাস্থল থেকে তার ফেলে যাওয়া ১০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। পলাতক মাদক ব্যবসায়ির নাম একরাম হোসেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অভিযানে আটককৃত সকল মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।