বার্সেলোনা ছেড়ে নতুন ক্লাবে এসেছেন। আসলে এখন ‘নতুন’ বলাটাও ভুল, প্যারিস সেন্ত জার্মেইয়ে পাঁচ মাস কাটিয়ে দিয়েছেন লিওনেল মেসি। যদিও এখনও সংগ্রাম করে যাচ্ছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। বিশেষ করে, ফরাসি লিগ ওয়ানে কাটছে সবচেয়ে কঠিন সময়। বুধবার রাতে লরিয়ঁর বিপক্ষে ম্যাচটি যেমন। নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপ্পে না থাকায় তার ওপর ছিল বাড়তি দায়িত্ব। কিন্তু গোল পাননি মেসি। একেবারে শেষ মুহূর্তে গিয়ে মাউরো ইকার্দির গোলে হার বাঁচিয়েছে প্যারিসের ক্লাবটি।
লিগ ওয়ানের ম্যাচে লরিয়ঁর মাঠ থেকে ১-১ গোলে ড্র করে ফিরেছে পিএসজি। প্যারিসের ক্লাবটির হয়ে মাত্র তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নেমে লাল কার্ড দেখেছেন সের্হিয়ো রামোস। তখন ১-০ গোলে পিছিয়ে ছিল সফরকারীরা। তারপরও ১০ জনের দল নিয়ে দ্বিতীয়ার্ধের ইনজুরি টাইমে ইকার্দির হেডে পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে পেরেছে মাউরিসিও পোচেত্তিনোর দল।
চোটের কারণে মাঠের বাইরে নেইমার। আরও বেশ কিছুদিন সময় লাগবে তার ফিরতে। ওদিকে এমবাপ্পে আবার ছিলেন না নিষেধাজ্ঞার কারণে। পিএসজির আক্রমণের নেতৃত্বে থাকা মেসির ওপর বাড়তি দায়িত্ব চাপে। পয়েন্ট টেবিলে ১৯ নম্বরে নম্বরে থাকা লরিয়ঁর বিপক্ষে মেসিদের হেসেখেলে জেতার কথা। কিন্তু একটু হলে অঘটনের শিকার হচ্ছিল তারা।
শুরু থেকেই স্বাগতিকদের দাপট। ১৬ মিনিটে গোল পেয়ে যেতে পারতো লরিয়ঁর। মোফি গোলকিপার কেইলর নাভাসকে একা পেয়েও বল জালে জড়াতে পারেননি। পরের মিনিটে আবারও সুযোগ নষ্ট স্বাগতিকদের। অন্যদিকে পিএসজি প্রথম গোল পায়নি গোলপোস্টের কারণে। মেসির দুর্দান্ত শট ফিরে আসে পোস্টে লেগে।
৪০ মিনিটে গিয়ে আসে ম্যাচের প্রথম গোল। বক্সের বাইরে থেকে বুলেট গতির শটে জাল কাঁপান তোমাস মোনকোনদুইত। ওই গোলের লিড নিয়ে জয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছিল স্বাগতিকরা। বিশেষ করে, ৮৫ মিনিটে রামোস দ্বিতীয় হলুদের সঙ্গে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে সম্ভাবনা আরও বাড়ে লরিয়ঁর। তবে ১০ জনের দল নিয়েও লড়াই করা ছাড়েনি পিএসজি। আর তারই পুরস্কার পায় দ্বিতীয়ার্ধের ইনজুরি টাইমের প্রথম মিনিটে।
ডান প্রান্ত থেকে আশরাফ হাকিমির দুর্দান্ত ক্রসে অনেকটা লাফিয়ে উঠে করা হেডে বল জালে জড়ান ইকার্দি। আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকারের এই গোলেই পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়তে পেরেছে পিএসজি। এই ড্রয়ের পরও ১৬ পয়েন্টে এগিয়ে থেকে শীর্ষস্থানে মেসিরা।