২০ দিন আগে দ্বিতীয় সন্তানের বাবা হয়েছেন রিয়াজ। তখনো শিশুকে ছুঁয়ে দেখা হয়নি তার। বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক ছুটিতে ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন রিয়াজ। বরগুনার বেতাগীতে তার বাড়ি। অভিযান-১০ লঞ্চের যাত্রী ছিলেন তিনি। বাড়ি পৌঁছানোর আগেই আগুনে প্রাণ হারান রিয়াজ। শনিবার সকালে বরগুনায় নিজ গ্রামের পারিবারিক গোরস্থানে নিহত রিয়াজের দাফন সম্পন্ন করা হয়।
জানা যায়, প্রথম সন্তানের ১০ বছর পর দ্বিতীয় সন্তান জন্ম নিয়েছে রিয়াজ ও মুক্তা বেগম দম্পতির। অফিস থেকে ছুটি না পাওয়ায় শুক্র-শনিবার সাপ্তাহিক ছুটিতে বাড়ি থাকার জন্য গত বৃহস্পতিবার অভিযান-১০ লঞ্চে করে বরগুনার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। কিন্তু ছেলে সিফাতুল্লাহকে ছুঁয়ে দেখার সৌভাগ্য তার হলো না! ঝালকাঠীর সুগন্ধা নদীতে অভিযান-১০ লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে রিয়াজ মৃত্যু হয়। বন্ধ হয়ে যায় পরিবারের একমাত্র আয়ের পথ।
বরগুনার বেতাগী উপজেলার কাজিরাবাদ ইউপির আব্দুল কাদেরর একমাত্র ছেলে মো. রিয়াজ হোসেন। তিনি ছিলেন পরিবারের এক মাত্র উপার্জনকারী। তার আয়েই চলত পরিবার।
রিয়াজের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে তার পরিবারে। ২০ দিনের শিশুসন্তানকে বুকে আগলে অনবরত কেঁদে চলেছেন রিয়াজের অসহায় স্ত্রী মুক্তা।
পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস রিয়াজকে হারিয়ে বাবা আব্দুল কাদের বলেন, আমরা নিঃস্ব হয়ে গেলাম, আমাদের এখন কে দেখবে, রিয়াজের এতিম সন্তানদের কী হবে?
এ বিষয় বেতাগী উপজেলা নির্বাহী অফিসারমো. সুহৃদ সালেহীন জানান, অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকান্ডে নিহতদের পরিবারকে সরকারিভাবে সহায়তা করা হবে।