কুমিল্লা মেঘনায় উপজেলায় চারকাঠালিয়াতে ট্রলারডুবির ঘটনায় তামান্না আক্তার (১০) নামে আরো এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেঘনা চালিভাঙ্গা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক আবু আব্দুল্লাহ।
তিনি জানান, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে সাড়ে ১১ টার দিকে ঘটনাস্থলের অদূরে শিশু তামান্নার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত
তামান্নার বাবা শেখ ফরিদ জানান, তাদের বাড়ী ঢাকার ডেমরা এলাকায়। সোমবার
নানুবাড়ী কুমিল্লার তিতাস এলাকায় যাচ্ছিলো তার তিন মেয়ে ও তাদের নানু
জুলেখা। পথিমধ্যে ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে।
তিন মেয়ে হারিয়ে বাকরুদ্ধ শেখ ফরিদ কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন আমি এখন কি নিয়ে বাঁচবো। আমার কলিজা ছিড়ে যাচ্ছে।
চালিভাঙ্গা
নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক আবু আবদুল্লাহ জানান, গতকাল সোমবার
ঘটনার সময় তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে আরেক শিশু নিখোঁজ ছিলো। পরে
চাঁদপুর থেকে আসা একটি ডুবুরি দল সোমবার বিকেল ৪ টা থেকে অভিযান শুরু করে।
তবে প্রবল স্রোত, তীব্র ঠান্ডা ও ব্যাপক কচুরীপানার কারনে রাত সাড়ে ৮ টার
দিকে উদ্ধার অভিযান বন্ধ করা হয়। মঙ্গলবার আবারো উদ্ধার অভিযান শুরু হয়।
বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ঘটনাস্থলের পাশ থেকে শিশু তামান্নার লাশ উদ্ধার করা
হয়েছে।
এর আগে বিকেল ২ টার দিকে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় নদীতে ট্রলার ডুবে শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ ছিলো শিশু তামান্না।
মৃতরা হলেন জুলেখা বেগম, আয়েশা আকতার ও আট বছরের মরিয়ম ও তামান্না আক্তার ।
পরিবারটি
ঢাকার ডেমরা থানার সুকশি গ্রাম থেকে কুমিল্লা তিতাস উপজেলায় আত্মীয়ের
বাড়ী যাচ্ছিলেন। সে সময় কাঠালিয়া নদীতে ট্রলারটি কোনোভাবে ডুবে যায়।