প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ মোকাবিলায় সরকার জারি করতে যাচ্ছে বিশেষ বিধিনিষেধ। আগামী সপ্তাহে সরকারি প্রজ্ঞাপন হতে পারে।
দেশে এমন এক পরিস্থিতির মধ্যে অনিশ্চিত দেশের দাবার সর্বোচ্চ আসর প্রিমিয়ার লিগ। ২০ থেকে ৩০ জানুয়ারি এই লিগের তারিখ নির্ধারণ করে প্রস্তুতি শুরু করেছে বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশন।
এবার একসঙ্গে প্রিমিয়ার লিগ ও প্রথম বিভাগ লিগের খেলা আয়োজনের সিদ্ধান্ত ফেডারেশনের। দুই বিভাগে ১২টি করে দল অংশ নিচ্ছে লিগে। এর মধ্যে ২৩টি দলই লিগের জন্য দাবাড়ু এনে থাকে বিদেশ থেকে। দুই লিগ মিলিয়ে ৪০ থেকে ৪৫ জন বিদেশি খেলোয়াড় ঢাকায় আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এর মধ্যে সিংহভাগই ভারতের দাবাড়ু।
করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে নির্ধারিত সময়ে দাবা লিগ আয়োজন নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। কারণ, আগামী ১৫ দিন পর দেশের করোনা পরিস্থিতি কি দাঁড়ায়, তা নিয়ে আছে শঙ্কা। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশন সোমবার সভা করেছে ক্লাবগুলো নিয়ে।
কিছু ক্লাব প্রস্তাব দিয়েছে করোনার প্রকোপ বেড়ে গেলে বিদেশি খেলোয়াড় আনা সম্ভব নাও হতে পারে। আগামীতে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলবে কিনা তাও বলা মুশকিল। তাই বিদেশি ছাড়াই লিগ আয়োজন করার প্রস্তাব তাদের।
আবার কোনো ক্লাবের যুক্তি, বিদেশি খেলোয়াড় ছাড়া দাবা লিগ জমবে না। তাই এখন বিদেশি আনতে না পারলে লিগ পিছিয়ে দেওয়া যেতে পারে। ক্লাবগুলোর সঙ্গে সভায় বিভিন্ন ধরনের প্রস্তাব ওঠায় ফেডারেশন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাবউদ্দিন শামীম বলেছেন, ‘২০ জানুয়ারি লিগ শুরুর বিষয়ে আমাদের প্রস্তুতি চলছে। ক্লাবগুলোও বিদেশি খেলোয়াড় ঠিক করেছে। বিদেশিরা ভিসা নিতে শুরু করেছেন, টিকিটও কাটছেন। তবে করোনা বেড়ে যাওয়ায় দুই সপ্তাহ পর কি অবস্থা হবে, আমরা জানি না। ক্লাবগুলোর সঙ্গে আলোচনায় একাধিক প্রস্তাবনা এসেছে। এ সপ্তাহেই আমাদের ফেডারেশনের ওয়ার্কিং কমিটির সভা আছে। সেখানে লিগ নিয়ে আলোচনা হবে। তবে এখন পর্যন্ত দাবা লিগের শিডিউল ঠিক আছে।’