এক
সপ্তাহের ব্যবধানে মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ দুটোই দেখা হয়ে গেলো মুমিনুল হকদের।
মাউন্ট মঙ্গানুইতে নিউজিল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশ।
ক্রাইস্টচার্চে এসে ফের আগের বাংলাদেশকেই খুঁজে পাওয়া গেলো! আরেকটি ইনিংস
ব্যবধানে হারে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শেষ করলো সফরকারীরা। তবুও
নিউজিল্যান্ডের কঠিন কন্ডিশনে টেস্ট সিরিজ না হারাকে বড় প্রাপ্তি হিসেবে
দেখছেন মুমিনুল। প্রথম টেস্টে দলীয় পারফরম্যান্সে যে ফল এসেছে, সেটিই
বাংলাদেশ অধিনায়কের কাছে ইতিবাচক হিসেবে ধরা দিয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার
ক্রাইস্টচার্চে ইনিংস ও ১১৭ রানের বড় ব্যবধানে হারের পর মুমিনুল সিরিজ থেকে
প্রাপ্তির খতিয়ান তুলে ধরেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের
টেস্ট দল নিয়ে উন্নতির অনেক জায়গা আছে। আপনারা জানেন, আমি খুব কঠিন সময়ে
নেতৃত্ব পেয়েছিলাম। তখন স্বপ্ন দেখতাম বড় দলের বিপক্ষে ম্যাচ জেতার। প্রথম
টেস্ট জেতা খুবই দরকার ছিল। আমাদের দলের সবার এখন বিশ্বাস জন্মেছে, আমরা
বিদেশের মাটিতে টেস্ট জিততে পারি, আমাদের সামর্থ্য আছে। এখন একটা টেস্ট
জিতলাম, পরে আরেকটা টেস্ট জিতবো, এভাবে একসময় আমরা সিরিজ জিতবো। তো ওই
বিশ্বাসটা মনে হয়, সবার ভেতরে আনা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। প্রথম টেস্ট
জেতাতে মনে হয় ওই বিশ্বাসটা সবার ভেতরে এসেছে।’
প্রথম টেস্ট দাপটের
সঙ্গে খেললেও দ্বিতীয় টেস্টে বিন্দুমাত্র প্রতিরোধ গড়তে পারেনি মুমিনুলরা।
ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট করলে সুযোগ ছিল সিরিজটি নিজেদের করে নেওয়ার। কিন্তু
শেষ পর্যন্ত বোলার-ফিল্ডার-ব্যাটারদের ব্যর্থতায় সেটি হয়নি। মুমিনুল স্বপ্ন
দেখেন, এখন না হলেও ভবিষ্যতে তারা বিদেশেও বড় দলগুলোর বিপক্ষে সিরিজ
জিতবেন।
কবে নাগাদ বিদেশের মাটিতে সিরিজ জিততে বাংলাদেশ, এমন প্রশ্নে
মুমিনুল জানালেন সামনের পথটা আরও কঠিন, ‘আমার কাছে মনে হয়, দল হিসেবে
আমাদের জন্য আরও অনেক চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। কারণ, আমরা যখন বিদেশে
খেলতাম, তখন প্রতিপক্ষ ধরে নিতো আমরা ভালো করতে পারবো না। এখন সবার মধ্যে
সচেতনতা চলে আসবে। সামনে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ আছে, শ্রীলঙ্কা সিরিজ আছে,
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর আছে। সবাই আরও বেশি সচেতন হবে। আমার কাছে মনে হয়, আমাদের
জন্য আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং হবে। জিনিসটা এত সহজ হবে না। তো এই চ্যালেঞ্জ
জিনিসটা আমাদের নিতে হবে। ‘
দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ইতিবাচক দিকগুলো
তুলে ধরে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেছেন, ‘ইতিবাচক তো অনেক কিছুই আছে। আমাদের
দলীয় ফল তখনই ভালো হয়, যখন আমরা সম্মিলিতভাবে ভালো খেলি। সেটা ব্যাটিং,
বোলিং ও ফিল্ডিং, যা-ই বলেন। আমার মনে হয়, এটা একটা ইতিবাচক ব্যাপার ছিল।
প্রথম টেস্ট জয় আমাদের জন্য দারুণ অর্জন। দেশের বাইরে আমরা তেমন ভালো করি
না। সেদিক থেকে এই জয়টা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমেই যেটা বললাম,
আমাদের বিশ্বাস করার জন্য একটা ফল দরকার ছিল, অন্তত সবাই বিশ্বাস করবে যে,
আমরা পারি।’