ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
জাতীয়করণের দাবিতে দ্বিতীয় দিনেও রাজপথে শিক্ষকরা
Published : Wednesday, 12 January, 2022 at 12:00 AM
এমপিওভুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণপ্রত্যাশী মহাজোটসহ একাধিক সংগঠনের নেতারা।
মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) দ্বিতীয় দিনের মতো জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করছেন সারাদেশ থেকে আসা শিক্ষক-কর্মচারীরা।
কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা পূর্ণাঙ্গ সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। পাঠ্যক্রম, আইন এবং একই মন্ত্রণালয়ের অধীনে শিক্ষাব্যবস্থা পরিচালিত হলেও শিক্ষাব্যবস্থায় সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা সুযোগ-সুবিধাপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিরাট পার্থক্য রয়েছে।
তারা বলেন, অনেক শিক্ষক-কর্মচারী টাকার অভাবে বিনা চিকিৎসায় মারা যান। অধিকাংশ শিক্ষক নিজ জেলার বাইরে চাকরি করেন, তাদের জন্য বদলি ব্যবস্থা চালু অতীব জরুরি। অধ্যক্ষ থেকে কর্মচারী পর্যন্ত নামমাত্র এক হাজার টাকা বাসাভাড়া ও ৫০০ টাকা চিকিৎসাভাতা পান এবং একজন শিক্ষক ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা পান। বিশ্বের কোনো দেশে শিক্ষাব্যবস্থায় এমন বৈষম্য আছে বলে মনে হয় না। এই বৈষম্য দূরীকরণে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ জরুরি।
এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণপ্রত্যাশী মহাজোটের আহ্বায়ক মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ হলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবেন গ্রামের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। স্বল্প খরচে সব নাগরিক একই মানের মানসম্মত শিক্ষা পাবে। শিক্ষার্থী ঝরেপড়া কমবে এবং প্রতিষ্ঠানের ফান্ডে থাকা অর্থের অপচয় রোধ হবে।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা এমপিওভুক্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলন করছি। ১০ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সব এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবি জানানো হয়েছিল। সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেয়া হয়েছিল, জাতীয়করণের দাবি না মানা হলে ১০ জানুয়ারি থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। আমরা দ্বিতীয় দিনের মতো সেই কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছি।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি তালুকদার আব্দুল মান্নাফ, মহাসচিব মো. মেজবাহুল ইসলাম প্রিন্স, নির্বাহী মহাসচিব অরুপ সাহা, বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরামের মহাসচিব মো. রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ এমপিওভুক্ত শিক্ষক অনলাইন পরিষদের সভাপতি আবু তালেব সোহাগ, বাংলাদেশ শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক বেনী মাধব দেবনাথ, সদস্যসচিব মো. দীদার হোসেন প্রমুখ।