ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
শতাংশের মারপ্যাঁচে রেড জোনে রাঙামাটি
Published : Thursday, 13 January, 2022 at 12:00 AM
ওমিক্রনের প্রভাবে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ফের ঊর্ধ্বমুখী। পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতেও বাড়ছে এ মহামারিতে আক্রান্তের হার। মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) বিকালে ঢাকাসহ রাঙামাটি জেলাকে করোনা সংক্রমণের রেড জোন অর্থাৎ উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
অধিদফতরের তথ্যমতে, ঢাকা ও রাঙামাটি জেলা সংক্রমণের রেড জোনে (উচ্চ ঝুঁকি) রয়েছে। এ ছাড়া হলুদ জোনের (মধ্যম ঝুঁকি) তালিকায় রয়েছে ছয় জেলা এবং সবুজ জোনে (কম ঝুঁকি) রয়েছে দেশের ৫৪ জেলা। উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ঢাকায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে করোনা শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৯০ ও রাঙামাটিতে ১০ শতাংশ।
এদিকে, এ জেলাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করলেও মানুষের মাঝে তেমন সচেতনতা দেখা যায়নি। জেলা শহর থেকে শুরু করে উপজেলা শহরগুলোতে মানুষকে মাস্কবিহীন চলাফেরা করতে দেখা গেছে। অনেকে রেড জোনের কথা শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তবে প্রশাসন বলছে, তারা স্বাস্থ্যবিধি মানাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এর জন্য জনবহুল এলাকাগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালাচ্ছেন।
রেড জোনে রাখার কারণ হিসেবে রাঙামাটি জেলা সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে রাঙামাটিকে রেড জোনে রাখা হয়েছে। রাঙামাটিতে গত এক সপ্তাহে রোগী শনাক্তের হার ১০ শতাংশ। অনেকটাই শতাংশের বিবেচনায় আমরা রেড জোনে পড়েছি। গত এক সপ্তাহে জেলায় ১৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে একজন হাসপাতালে ভর্তি আছেন, বাকিরা বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। তারপরও করোনা ঊর্ধ্বগতি রোধে প্রশাসনসহ আমরা কাজ করছি। তবে সাধারণ মানুষকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে।’
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে ৪৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে তিন জনের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। গত এক সপ্তাহে ২১৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৮ জনের। শনাক্তের হার ৮ দশমিক ২১ শতাংশ।
বনরূপায় বাজার করতে আসা মঙ্গল কুমার চাকমা বলেন, ‘অনেকটাই বিস্মিত হয়েছি, রেড জোনে রাঙামাটির নাম দেখে। রাঙামাটির মানুষ অনেকটাই সচেতন। এখন আরও বেশি সচেতনতার প্রয়োজন।’
মাস্ক না পরেই মো. আকাশ নামে এক পথচারী রাস্তা পার হচ্ছিলেন। তিনি বলেন, ‘করোনায় রাঙামাটিতে তেমন একটা সমস্যা নেই। তাই মাস্ক পরতে হয় না।
রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মামুন বলেন, ‘করোনার ঊর্ধ্বগতি রোধে প্রশাসন শুরু থেকেই কঠোর রয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে জরিমানা আদায় করেছেন। ভবিষ্যতেও এই ধারা বজায় থাকবে। শুরু থেকেই সচেতনতার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এ জন্য মাস্কও বিতরণ করা হচ্ছে।’