Published : Thursday, 13 January, 2022 at 12:00 AM, Update: 13.01.2022 12:34:13 AM
রণবীর ঘোষ কিংকর।
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার ১২ ইউনিয়নে বিজয়ী চেয়ারম্যানদের মধ্যে দুই বীর মুক্তিযোদ্ধা বিজয় লাভ করেছেন। চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বদ্বিতাকারী ৭৬জন প্রার্থীর মধ্যে যে দুইজন মুক্তিযোদ্ধা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন তাঁরা উভয়েই বিজয় লাভ করেন।
তারা হলেন- ৩নং মাধাইয়া ইউনিয়ন পরিষদে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মজিবুর রহমান ও ১০নং গল্লাই ইউনিয়নে বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল করিম দর্জি। তাঁদের মধ্যে একজন নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগ মনোনীত অপরজন চশমা প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী।
পঞ্চম ধাপের নির্বাচনে গত ৫ জানুয়ারী বিজয়ের পর থেকে প্রতিদিন ইউনিয়নের আনাচে কানাচে ঘুরে নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে হাসি মুখে আলিঙ্গণ করে বুকে জড়িয়ে নিয়েছেন। তাদের উৎফুল্লতা দেখে মনে হয় ভোট যুদ্ধে নির্বাচনে বিজয় যেন মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের চেয়েও কম নয়।
গত ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনে ৩নং মাধাইয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাঁদের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবুর রহমান। তিনি চান্দিনার মাধাইয়া ইউনিয়নের নাওতলা গ্রামের বাসিন্দা। নির্বাচনী ফলাফলে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবুর রহমান তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বর্তমান চেয়ারম্যান অহিদ উল্লাহ থেকে ২৭২ ভোট বেশি পেয়ে শেষ হাসি হাসলেন।
এর আগে তিনি ১৯৯৭ সালে ছাতা প্রতীক নিয়ে প্রথমবারের মত মাধাইয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। দাম্পত্য জীবনে বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমান পাঁচ পুত্র সন্তানের জনক। ইউনিয়নে শান্তি ফিরিয়ে এনে গরীব-দুঃখীদের পাশে থেকে আগামী পাঁচটি বছর ইউনিয়নবাসীর সেবা করাই তাঁর একমাত্র লক্ষ্য।
পঞ্চম ধাপের ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনে ১০নং গল্লাই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাঁদের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল করিম দর্জি। তিনি চান্দিনার গল্লাই ইউনিয়নের কংগাই গ্রামের বাসিন্দা। আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম নিলেও তাঁর নামের প্রস্তাব যায়নি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে। যে কারণে তিনি চশমা প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ওই ইউনিয়নের নির্বাচনে আনারস প্রতীকে অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম থেকে ২ হাজার ২৮৮ ভোটের বিশাল ব্যবধানে জয় লাভ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল করিম দর্জি। এর আগে তিনি ১৯৯১ সালে হরিণ প্রতীক নিয়ে প্রথম বারের মত গল্লাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। দাম্পত্য জীবনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল করিম দর্জি দুই ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানের জনক। অবহেলিত ইউনিয়নের অনুন্নত রাস্তাঘাট উন্নয়নে কাজ করা, প্রতিদ্বন্দ্বি পরাজিত প্রার্থীদেরও সাথে নিয়ে আধুনিক ও মডেল ইউনিয়ন গড়াই তাঁর মূল লক্ষ্য। রাজনৈতিক ভাবে তিনি বর্তমান সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্তের হাতকে শক্তিশালী করতে ইউনিয়নবাসীর পক্ষ থেকে দৃঢ় মনোভাব নিয়ে কাজ করে যাবেন।