ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
গুণাগুণ হারাচ্ছে মাটি
সাধারণ মানুষকেই সচেতন হতে হবে--
Published : Tuesday, 18 January, 2022 at 12:00 AM, Update: 18.01.2022 12:25:29 AM

গুণাগুণ হারাচ্ছে মাটিতানভীর দিপু: কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনে যে বিপুল পরিমান প্লাস্টিক বর্জ্য মাটিতে মিশে যাচ্ছে পরবর্তীতে মাটির গুণাগুণ কি পর্যায়ে পৌঁছাবে তা নিয়ে আশংকা প্রকাশ করে কুমিল্লা মৃত্তিকা গবেষণা ইন্সটিটিউট এর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জান্নাত আরা বলেন, এই বিপুল পরিমান প্লাস্টিক কুমিল্লা সিটির মাটিতে মিশে যাচ্ছে তা প্রথম যে ক্ষতিটি করছে তা হলো মাটির উর্বরতা নষ্ট করে দিচ্ছে। মাটিতে যেসব অনুজীব মাটির উর্বরতা তৈরী করতে সহায়তা করে প্লাস্টিকের কারণে সেগুলো দিন দিন কমে যাচ্ছে। যেহেতু বর্জ্যগুলো আলাদা আলাদা ভাবে বিনষ্ট করা যাচ্ছে না প্লাস্টিক বর্জ্যরে সাথে অন্যান্য বর্জ্য মিশে প্রচন্ড দুর্গন্ধ তৈরী করে। অর্থাৎ শুধু যে মাটি দূষণ হচ্ছে এমন নয়, বায়ু দূষণও হচ্ছে। আর মাটি দূষণের ফলে এই এলাকার জৈব কৃষি মারত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এখান কৃষি ফলন মাটি থেকে তাদের পর্যপ্ত পুষ্টি আহরণ করতে পারছে না। অতিরিক্ত পরিমানে সার ব্যবহার করতে হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, কুমিল্লা সিটি থেকে শত ভাগ প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করতে হবে। সিটি কর্পোরেশন পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগ করেই এই কাজটি জোর দিয়ে করা উচিত। আর যে সব ডাস্টবিনগুলো আছে সেগুলো সর্বোচ্চ ব্যবহারে জোর দিতে হবে। আরো ডাস্টবিনের সংখ্যা বাড়াতে হবে। প্লাস্টিকসহ অন্যান্য বর্জ্যগুলো নির্ধারিত স্থানে আলাদা আলাদা ভাবে বিনষ্ট করা চেষ্টা করতে হবে। সিটি কর্পোরেশনের মাটি তথা পরিবেশ বাঁচাতে শতভাগ প্লাস্টি বর্জ্য সংগ্রহের বিকল্প নাই।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. সফিকুল ইসলাম জানান, সীমিত লোকবল এবং যানবাহন দিয়ে কুমিল্লা সিটির বর্তমান বর্জ্যব্যবস্থাপনা পরিচালিত হচ্ছে। যে পরিমান বর্জ্য উৎপাদন হয়, তা সংগ্রহ করার সক্ষমতা আমাদের নাই। আর যেসব বর্জ্য নির্ধারিত স্থান বা ডাস্টবিনে আসছে সেগুলো সংগ্রহ হচ্ছে , বাকিটা যেখানে সেখানে ফেলে রাখা হচ্ছে।
তিনি জানান, বৈদেশিক একটি সংস্থার মাধ্যমে একটি প্লান্ট তৈরী করে বর্জ্য থেকে তেল গ্যাস উৎপাদনের একটি পরিকল্পনা রয়েছে। এলজিআরডি মন্ত্রী সে ব্যাপারে একটি প্রকল্প নিয়ে কথা বলছেন। অথবা নিজস্ব অর্থায়নে এই বর্জ্য ব্যস্থাপনার একটি পূর্ণাঙ্গ রূপ আমরা এক দেড় বছরের মধ্যে পারা যাবে। এখনো যেসব ডাস্টবিন স্থাপন করা হয়েঝে সেগুলোর শতভাগ ব্যবহার নিশ্চিত হচ্ছে না।
 তিনি জানান, সবচেয়ে বড় কথা হলো সাধারণ মানুষকে যথেষ্ট পরিমান সচেতন হতে হবে। এছাড়া এই প্লাস্টিক বর্জ্য আমাদের দিন দিন ভয়ংকর হুমকির মুখেই নিয়ে যাবে।