কোটি টাকার বিপিএল জয় দিয়ে শুরু করলো সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশাল। শুক্রবার মেহেদী হাসান মিরাজের চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে বরিশাল। আগে ব্যাট করে চট্টগ্রাম ১২৫ রানে থেমে যায়। সহজ লক্ষ্যে খেলতে নেমে মাঝে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিল সাকিবরা। যদিও শেষ পর্যন্ত ৮ বল বাকি থাকতে ৪ উইকেটে জয় পায় বরিশাল। হারলেও ব্যাট-বলে অবদান রেখে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন চট্টগ্রাম অধিনায়ক মিরাজ।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বিপিএলের অষ্টম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে ১২৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা ভালো করেনি বরিশাল। দলীয় ৩ রানেই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্তকে হারায় তারা। এরপর বাজে শটে সাকিব বোল্ড হয়ে ফিরলে দলে অস্বস্তি বাড়ে। তবে তৌহিদ হৃদয় ও সৈকত আলী মিলে সেই চাপ সামলে উঠেছিলেন। কিন্তু এক ওভারে মিরাজের জোড়া আঘাত ও এক রান আউটে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় চট্টগ্রাম। কিন্তু বাকি বোলাররা জিয়াউর রহমান ও ডোয়াইন ব্রাভোকে রুখে দিতে ব্যর্থ হলে ৬ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে বরিশাল।
বরিশালের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন সৈকত। ৩৫ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছেন তিনি। জিয়াউর ১২ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় করেন ১৯ রান। ব্রাভো ১০ বলে ১২ রানে অপরাজিত থাকেন। সাকিবের ব্যাট থেকে আসে ১৬ বলে ১৩ রান।
চট্টগ্রামের বোলারদের মধ্যে মিরাজ ছাড়া কেউই ভালো করতে পারেননি। নাসুম আহমেদ কিছুটা ভালো করলেও উইকেট পাননি। শরিফুল ইসলামের বোলিং ছিল ছন্নছাড়া। ৩ ওভারে ২৯ রান খরচ করে উইকেটশূন্য এই পেসার। তবে আলো ছড়িয়েছেন মিরাজ। ডানহাতি স্পিনারের দুর্দান্ত বোলিংয়ে একসময় জয়ের স্বপ্নও উঁকি দিয়েছিল চট্টগ্রাম ক্যাম্পে। মিরাজ ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে পেয়েছেন ৪ উইকেট।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং পাওয়া চট্টগ্রাম বড় সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারেনি। বরিশালের দুই স্পিনার নাঈম হাসান ও সাকিব শুরু থেকেই চেপে ধরেন। প্রথম পাওয়ার প্লেতে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারানো চট্টগ্রাম পরবর্তীতে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। দলের হয়ে একাই লড়াই করেছেন বেনি হাওয়েল (২০ বলে ৪১)। ৩ চার ও ৩ ছক্কায় হাওয়েল নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছেন। তিনি ছাড়া দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পেরেছেন তিন ব্যাটার- উইল জ্যাকস (১৬), নাঈম ইসলাম (১৫) ও শামীম হোসেন (১৪)। সব মিলিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে চট্টগ্রাম করে ১২৫ রান।
বরিশালের হয়ে দারুণ বোলিং করেছেন অধিনায়ক সাকিব। বাঁহাতি স্পিনার ৪ ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়ে পেয়েছেন ১ উইকেট। সবচেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন ক্যারিবীয় পেসার আলজারি জোসেফ। ৩২ রান খরচায় তার শিকার ৩ উইকেট। এছাড়া নাঈম হাসান নেন ২ উইকেট।