শাহীন আলম, দেবিদ্বার।

কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায় নির্বাচনের আচরণবিধি ভেঙে বিশাল মিছিল ও শোভাযাত্রা করেছেন প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থকেরা। এতে সড়কে যানজটের সৃষ্টি হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। করোনাকালে শারীরিক দূরত্ব না  মেনে, বিশৃঙ্খলা পরিবেশে ঘেঁষাঘেষি থাকায় বেড়েছে সংক্রমণের ঝুঁকি।  দেবিদ্বার উপজেলার ১৫টি ইউপির চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রার্থী এবং তাঁদের হাজার হাজার কর্মী-সমর্থক নির্বাচনী প্রতীক নিতে এসে গতকাল রবিবার এই পরিস্থিতির সৃষ্টি করেন।সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে প্রতীক নিতে আসা অনেকের মুখে মাস্ক ছিল না। আবার যাঁদের মাস্ক ছিল, তাঁরা নামিয়ে রেখেছিলেন থুতনিতে। তাঁদের এমন কর্মকাণ্ডে সাধারণ মানুষ এবং নিউ মার্কেট এসএ কলেজ রোডে চলাচলকারী যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন। নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি । নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ১০৩ জন, সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৪৫জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৫৫৮জন  প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন। গতকাল  রবিবার ছিল তাঁদের প্রতীক বরাদ্দের দিন।
প্রতীক নিতে সকাল থেকে প্রতিটি ইউপির প্রার্থীরা তাঁদের কর্মী-সমর্থক এবং শুভাকাঙ্খীদের নিয়ে মহড়া করে বাদ্য ও বাঁশি বাজিয়ে যানবাহনে করে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে আসতে থাকেন। এ সময় মানুষে উপচে পড়ে উপজেলা পরিষদ। তাঁদের বাজনা ও শ্লোগানে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন। যানজটে আটকা পড়েন।

ভোগান্তির শিকার মানুষের অভিযোগ, প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকেরা করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখেননি। কোনো সচেতনতাই মেনে চলেননি তাঁরা। অনেকেই ব্যবহার করেননি মাস্ক। এদিকে, প্লাস্টিকের ভেঁপু বাঁশির শব্দে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন। এক প্রার্থীর কর্মী সালাউদ্দিন বলেন,  ‘মুখে মাস্ক পরা থাকলে ভেঁপু ও ভুভুজলা বাজানো যায় না। তা ছাড়া শ্লোগান দেব কেমনে? দেবিদদ্বার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলতাফ হোসেন বলেন, স্বাস্থ্যবিধি ও আচরণবিধি মেনে চলার জন্য তাঁদের বারবার বলা হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)  মো. আশিক উন নবী তালুকদার বলেন, শব্দ দূষণ, বিশাল মহড়া, স্বাস্থ্যবিধি না মানা, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন-এ বিষয়গুলো প্রশাসনের গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।