Published : Monday, 24 January, 2022 at 12:00 AM, Update: 24.01.2022 1:56:06 AM
নিজস্ব
প্রতিবেদক: কুমিল্লায় ৩০০ বছর পুরোনো উজির দিঘীর ভরাট করা হচ্ছে এমন খবর
প্রচারিত হবার পর কুমিল্লার সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ ও কুমিল্লা মহানগর
আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আঞ্জুম সুলতানাসহ অন্যান্য আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ
উজির দিঘী পরিদর্শনে যান। গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় কুমিল্লার উজিরদিঘি
পরিদর্শনে গিয়ে দিঘীটির বর্তমান অবস্থা এবং ভরাটের বিষয়ে বিস্তারিত জানেন।
এমপি আঞ্জুম সুলতানা সীমা কুমিল্লার কাগজকে বলেন, গত একযুগে
কুমিল্লায় বেশ কয়েকটি পুকুর দিঘী ভরাট করা হয়েছে। উজির দিঘী, রানীর দিঘী,
ধর্মসাগরসহ অন্যান্য দিঘীগুলো আমাদের কুমিল্লার ঐতিহ্য।
ব্যাক্তিমালিকানাধীন হলেও সেটি ভরাট করতে চাইলে সেটি কোন এখতিয়ারে করার
অপচেষ্টা চলছে- তা জানতেই উজির দিঘীর পাড়ে গেলাম। জলাধার আইন লঙ্ঘন করে যে
বা যাঁরা দিঘির পানি সেচে ভরাটের নীলনকশা করছেন, তাঁদের প্রতিহত করা হবে।
তিনি
ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এসব দিঘী কুমিল্লার ঐতিহ্য। এসব জলাধারের পাড়েই
আমাদের বেড়ে ওঠা। কেউ চাইলেই উজির দিঘী সেঁচ করে পানি নিষ্কাশন করে ভরাট
করতে পারবেন না। দিঘীর পাড়ে গিয়ে দেখলাম পানি অনেকটাই তুলে ফেলা হয়েছে। আমি
জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলবো।
জানা গেছে, কুমিল্লা নগরীর কুমিল্লা
সার্কিট হাউস ও জেলা পুলিশ সুপারের বাসভবনের লাগোয়া ৫ একর আয়তনের উজির
দিঘীটি ১৫ দিন আগে থেকে শ্যালোইঞ্জিন লাগিয়ে পানি কমিয়ে ফেলা হয়। দিঘির
প্রায় চার ভাগের তিন ভাগ পানি কমিয়ে ফেলা হয়। উজির দিঘী ভরাট করা হতে পারে
এমন খবর প্রকাশের পর গত ১৫ জানুয়ারি জেলা প্রশাসন ম্যাজিস্ট্রেট পাঠিয়ে
পানির সেচকাজ বন্ধ করে দেন। এরপরও রাতে রাতে পানি কমানো হয়। সর্বশেষ গত
শনিবার দুপুরে দিঘির দক্ষিণ পাড় থেকে সেচযন্ত্র সরিয়ে নেয় প্রশাসন। দিঘির
পশ্চিম পাড়ে জেলা পুলিশ সুপারের বাসভবন, উত্তর পাড়ে কুমিল্লা সার্কিট হাউস,
পূর্ব ও দক্ষিণ পাড়ে আবাসিক এলাকা।
মো. মহসিন খান নামে কুমিল্লা নগরীর
এক বাসিন্দা বর্তমানে উজির দিঘীর মালিকানায় আছেন বলে জানা গেছে। বিভিন্ন
সংবাদ মাধ্যমে তিনি দাবী করেন, ‘তিনি দিঘির চার পাড়ে ১২ ফুট করে রাস্তা
করতে চান। গাছ লাগাতে চান। একই সঙ্গে দিঘির মাঝখানে ভাসমান রেস্তোরাঁ করতে
চান। দিঘির পানি সেচতে হলে প্রশাসনের অনুমতি লাগে, তা আমার জানা ছিল না।’
কিন্তু রাস্তা করতে তো দিঘির কিছু অংশ ভরাট করতে হবে, এমন প্রশ্নের কোনো
সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি।