ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
চৌদ্দগ্রামে ভেকু পোড়ানোর ঘটনায়
ইউএনও’র বিরুদ্ধে কৃষকের মামলা
Published : Friday, 4 February, 2022 at 12:00 AM, Update: 04.02.2022 12:37:42 AM
 ইউএনও’র বিরুদ্ধে কৃষকের মামলা চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মঞ্জুরুল হকের বিরুদ্ধে এক কোটি টাকার ভেকু পুড়ে দেওয়ার অভিযোগে আদালতে মামলা করেছে একেএম সেলিম (৩৮) নামের এক কৃষক। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় কুমিল্লা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর ৫নং আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ সালাহউদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বাদী একেএম সেলিম চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জুগীরকান্দি গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে।   
মামলায় একেএম সেলিম উল্লেখ করেন, উপজেলার কাশিনগর ইউনিয়নের জুগিরকান্দি গ্রামের বোয়ালজুড়ি খালের খননকাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এতে করে খাল থেকে প্রচুর পরিমাণ মাটি দুই পাশে স্তুপ করে রাখে। আমি ও এলাকাবাসী স্তুপকৃত মাটিগুলো নীতিমালা অনুযায়ী গ্রামের কবরস্থান, মসজিদ, মাদরাসা, স্কুল এবং নিচু জায়গা ভরাট করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর নিকট আবেদন করি। যার অনুলিপি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মঞ্জুরুল হককেও দেওয়া হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌখিকভাবে জানায়, মাটিগুলো নিজ খরচে নিয়ে এলাকার উন্নয়ন কাজে ব্যবহার করা যাবে। যার কারণে আমি এবং শাহাদাত হোসেন ৪টি ভেকু ভাড়া করে এনে জুগিরকান্দি জলাশয়ে রাখি। ১৯ জানুয়ারি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মঞ্জুরুল হক খালের পাড়ে না গিয়ে সরাসরি ভেকুগুলোর কাছে গিয়ে পিটিয়ে ভাংচুর করে ও পরবর্তীতে কেরোসিন দিয়ে আগুন জ¦ালিয়ে দেয়। এতে করে আমার এক কোটি টাকার ক্ষতি হয়। আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনুমোদনের কাগজপত্র দেখাতে চাইলে নির্বাহী কর্মকর্তা ওই এলাকার গিয়াস উদ্দিনকে আটক শেষে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করে।
 ইউএনও’র বিরুদ্ধে কৃষকের মামলা অ্যাডভোকেট মাসুদ ছালাউদ্দিন বলেন, গত ১৯ জানুয়ারি এলাকার কিছু কুচক্রী মহলের ইন্দনে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মঞ্জুরুল হক জুগিরকান্দি গ্রামে এলাকাবাসীর ভাড়া করা চারটি এক্সকেভেটর ভাংচুর করে পরবর্তীতে কেরসিন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। এতে করে প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে। এ নিয়ে সেলিম ক্ষুব্ধ হয়ে এলাকাবাসীর পক্ষে কুমিল্লা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর ৫নং আমলী আদালতে উপস্থিত হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। আদালতের বিচারক বেগম ফারহানা সুলতানা মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত পুর্বক আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মঞ্জুরুল হক বলেন, মামলার বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে শুনেছি। কাগজপত্র হাতে ফেলে অফিসিয়ালী বক্তব্য প্রদান করবো।  
প্রসঙ্গত, গত ১৯ জানুয়ারি চৌদ্দগ্রামে কাশিনগরের বোয়ালঝুড়ি খালের পাড় কেটে মাটি বিক্রির অভিযোগে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মঞ্জুরুল হক ৪টি ভেকু জব্দ করে আগুন দিয়ে ধ্বংস করে। এ সময় মাটি বিক্রির অভিযোগে গিয়াসউদ্দিন ও নাদিম নামের ২ ব্যক্তিকে ৬ লাখ টাকা জরিমানা করেছে।