মুরাদনগরে হামলার প্রতিবাদে ও গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন
Published : Monday, 7 February, 2022 at 12:00 AM, Update: 07.02.2022 12:50:05 AM
মো. হাবিবুর রহমান, মুরাদনগর ||
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ১৬নং ধামঘর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের নব-নির্বাচিত সদস্য ফিরোজ আহাম্মেদ ও তাঁর কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলার প্রতিবাদে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। রবিবার দুপুরে নহল চৌমুহনী বাজারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা উক্ত ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাদেক সাদির, আবু তাহের পুলিশ, মফিজুল ইসলাম, আব্দুস ছাত্তার, সোহেল মিয়া, কবির হোসেন, বাবু মিয়া ও মাহবুব আলম প্রমুখ। মানববন্ধনে আড়ালিয়া ও গাইটুলি এলাকার কয়েকশ নারী-পুরুষ অংশ নেয়।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে পরাজিত হন সদস্য প্রার্থী বিল্লাল হোসেন। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে ওইদিন বিকাল আনুমানিক ৫টায় নব-নির্বাচিত সদস্য ফিরোজ আহাম্মেদ ও তাঁর কর্মী-সমর্থকদের উপর অতর্কিতে হামলা চালায় তারা। লক্ষীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনেই প্রকাশ্য দিবালোকে ৯ জনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
আহতরা হলেন, নব-নির্বাচিত সদস্য ফিরোজ আহাম্মেদ, তাঁর কর্মী সাগর মিয়া, জাকির হোসেন, কাউছার মিয়া, সুমন মিয়া, আবু তাহের, নাইম মিয়া, ইমন মিয়া ও কাইয়ুম মিয়া। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এদের মধ্যে গুরতর নব-নির্বাচিত সদস্য ফিরোজ আহাম্মেদ ও সাগর মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ফিরোজ আহাম্মেদের স্ত্রী মোর্শেদা বেগম বাদী হয়ে পরাজিত প্রার্থী বিল্লাল হোসেনসহ নামধারী ১৩জন ও অজ্ঞাতনামা আরো ৩৫-৫০ জনের বিরুদ্ধে গত ৩ ফেব্রুয়ারি মুরাদনগর থানায় একটি মামলা করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
মুরাদনগর থানার ওসি (তদন্ত) মোকাদ্দেস হোসেন দৈনিক কুমিল্লার কাগজকে বলেন, আসামীরা পলাতক থাকায় গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি, তবে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।