ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
চৌদ্দগ্রামের ইউএনওসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে কারণ দর্শানোর নোটিশ
Published : Thursday, 10 February, 2022 at 12:00 AM, Update: 10.02.2022 12:57:27 AM
চৌদ্দগ্রামের ইউএনওসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে কারণ দর্শানোর নোটিশচৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মনজুরুল হকসহ ৩ জনকে বুধবার কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেছে চৌদ্দগ্রাম সিনিয়র সহকারী জজ আদালত। বুধবার বিকেলে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন বাদি পক্ষের আইনজীবি নুরুল ইসলাম। এরআগে ৬ ফেব্রুয়ারি উপজেলার জগন্নাথদীঘি ইউনিয়নের সাতঘড়িয়া গ্রামের মৃত জুলফু মিয়ার ছেলে নুরুল ইসলাম কুমিল্লা জেলা প্রশাসক, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার ভুমি, জগন্নাথদীঘি ইউনিয়নের তহশীলদারসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে স্থিতিতাবস্থা বজায় রাখতে একটি আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মনজুরুল হক, সহকারী কমিশনার ভুমি তমালিকা পাল ও ইউনিয়ন তহশীলদারের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেন।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, বাদির প্রার্থনা মোতাবেক ৩ জনের বিরুদ্ধে কেন অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আদেশ প্রদান করা হইবে না। অত্র নোটিশ প্রাপ্তির ১৫ দিনের মধ্যে বিবাদীগণকে কারণ দর্শানোর আদেশ প্রদান করা হইল।
আইনজীবি নুরুল ইসলাম বলেন, ভুক্তভোগী নুরুল ইসলাম উপজেলার জগন্নাথদীঘি ইউনিয়নের সাতঘড়িয়া মৌজার ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত বিএসের ৯৮ ও ৯৯ দাগে ৩৩ একর ভুমি ১১২ বছর যাবৎ ভোগ দখল করে আসছে। সরকারি আইন অনুযায়ী কোন ব্যক্তি যদি ১২ বছর পর্যন্ত কোন জায়গা ভোগদখল করে আসে, তাহলে ওই ব্যক্তি উক্ত সম্পত্তির মালিক হয়ে যান।
ভুক্তভোগী নুরুল ইসলামের পিতা জুলফু মিয়া উক্ত সম্পত্তি ১৯১২ সালে বন্দোবস্ত পায়। যেহেতু আমরা কোন কাগজপত্র দেখাতে পারিনি, সেজন্য নুরুল ইসলাম দুই দুই বার সালাশির মাধ্যমে জায়গাটি ভোগদখল করতে সরকারের নিকট আবেদন করেন এবং আদালতেও দেওয়ানী মামলা করেন। মামলার পরিপেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরকে নোটিশ প্রদান করেন। কিন্তু আদালতের নোটিশকে অবজ্ঞা করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ৮ ফেব্রুয়ারি জায়গাতে গিয়ে বেশ কিছু ফলজ গাছ কেটে ক্ষতি সাধন করেন।
ভুক্তভোগী নুরুল ইসলাম বলেন, এক’শ বছরের উর্ধ্বে আমি এবং আমার মরহুম পিতা ভোগদখল করে আসছে। বৈধভাবে জায়গাটি ভোগদখল করতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আবেদন করি। পরবর্তীতে এ নিয়ে আমি আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা করি। মামলার প্রেক্ষিতে আদালত কমিশন নিয়োগ করে। কমিশন আমার পক্ষে রিপোর্ট প্রদান করে। এর আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মনজুরুল হককে আদালত নোটি প্রদান করেন। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে আমার জায়গার উপরে বেশ কিছু ফলজ গাছ কাটা শুরু করলে আমি বাধা প্রদান করতে গেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমাকে অশালীন ভাষা ব্যবহার করে। এতে গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়ি।