নিজস্ব
প্রতিবেদক : শিক্ষার্থীদের কোভিড টিকা দিয়ে দ্রুত স্কুল খুলে দেওয়ার
আহ্বান জানিয়েছে ‘নিরাপদে ইশকুলে ফিরি’ ক্যাম্পেইন। ২১টি বেসরকারির উন্নয়ন
সংস্থার এই ক্যাম্পেইনের বছরপূর্তিতে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ
আহ্বান জানানো হয়েছে। করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের দাপটে ডিসেম্বর
থেকে রোগী বাড়তে থাকায় গত ২১ জানুয়ারি ফের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা
দেয় সরকার।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছিলেন, “শিশুদের মধ্যে
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে
বাধ্য হয়েছে।” শুরুতে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্কুল-কলেজ বন্ধের নির্দেশনা
থাকলেও ২ ফেব্রুয়ারি তা আরও দুই সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানান
শিক্ষামন্ত্রী।
‘নিরাপদে ইশকুলে ফিরি’ ক্যাম্পেইনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে
বলা হয়, “শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে স্কুল বন্ধ না রেখে করোনাভাইরাসের
বাস্তবতা মেনে নিয়েই যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনা মেনে
স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা উচিত।”
বয়সসীমা কমিয়ে ১২-১৭ বছরের শিশুদের কোভিড টিকার আওতায় আনায় সরকারকে ধন্যবাদ জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
এতে
বলা হয়, “তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে উল্লিখিত বয়সসীমার সব শিশুর টিকা প্রদান
করা অত্যন্ত জরুরি, যাতে শিশুরা আরও সুরক্ষিত হয়ে শ্রেণীকক্ষে ফিরতে পারে।
তাই আমরা সব শিশুর দ্রুত টিকা প্রদানের পাশাপাশি স্কুল খুলে দিয়ে সরাসরি
পাঠদান শুরুরও আহ্বান জানাচ্ছি।”
দেশের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর ২০২০ সালের ১৭ মার্চ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছিল সরকার।
সংক্রমণ
কমে এলে দেড় বছর পর গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর থেকে আবার শ্রেণিকক্ষ খুলে
দেওয়া হয়। তবে ওমিক্রনের দাপটে ফের সংক্রমণ বাড়লে গত ২১ জানুয়ারি
স্কুল-কলেজ ফের বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার।
দীর্ঘ দিন স্কুল বন্ধ থাকায়
শিশুদের স্বাভাবিক বিকাশের সুযোগ ব্যাহত হওয়ায় তাদের মানসিক স্বাস্থ্যে
প্রভাব পড়া, অনলাইনে সমান সুযোগ না থাকায় শিক্ষা কার্যক্রম অনিয়মিত হয়ে
পড়া, বাল্যবিয়ে, কাজে জড়ানো ও শিশুদের ওপর সহিংসতা বেড়ে যাওয়ার মত তথ্য
আসে।
আবারও স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শিশুরা একই সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
‘নিরাপদে
ইশকুলে ফিরি’ ক্যাম্পেইন পরিচালনাকারী সংস্থাগুলো হলো- ব্র্যাক, ব্রিটিশ
কাউন্সিল, গণসাক্ষরতা অভিযান, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন, এডুকো বাংলাদেশ,
এফআইভিডিবি, ফ্রেন্ডশিপ, হ্যাবিট্যাট ফর হিউম্যানিটি বাংলাদেশ,
হ্যান্ডিক্যাপ ইন্টারন্যাশনাল- হিউম্যানিটি অ্যান্ড ইনক্লুশন, জাগরণী চক্র
ফাউন্ডেশন, লিওনার্ড চ্যাশায়ার, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ, রুম টু
রিড বাংলাদেশ, সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশ, সাইটসেভারস, সিসেমি ওয়ার্কশপ
বাংলাদেশ, স্ট্রমি ফাউন্ডেশন, টিচ ফর বাংলাদেশ, ভিএসও, ওয়ার্ল্ড ভিশন
বাংলাদেশ এবং ইপসা।