একদিনে
করোনায় মৃত্যু বেড়েছে। তবে কমেছে নতুন রোগী ও শনাক্তের হার। গত ২৪ ঘণ্টায়
(৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা) করোনায় আক্রান্ত হয়ে
মারা গেছেন ৪১ জন। বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতর এ তথ্য
জানিয়েছে।
এর আগে গত ১৯ সেপ্টেম্বর এর চেয়ে বেশি মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল
অধিদফতর। সেদিন মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৪৩। বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ৩৩ জনের
মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে,
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৭ হাজার ২৬৪ জন, আর এ সময়ে
পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ। বুধবার ৮ হাজার ১৬ জন
নতুন শনাক্ত, আর শনাক্তের হার ছিল ১৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা
যাওয়া ৪১ জনকে নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত করোনায় মোট মারা গেছেন ২৮ হাজার ৭৪৪
জন। আর নতুন শনাক্ত হওয়া ৭ হাজার ২৬৪ জনকে নিয়ে এ পর্যন্ত দেশে সরকারি
হিসাবে মোট শনাক্ত হলেন ১৮ লাখ ৯৪ হাজার ৫৩৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার ৪৬
জন সুস্থ হয়েছেন। তাদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৬ লাখ ৪৪
হাজার ৬২৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ৪২ হাজার ৫৭৮টি, আর পরীক্ষা করা হয়েছে ৪২ হাজার ৮৬৭টি।
দেশে
এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ২৮ লাখ ৯৮ হাজার ৯টি।
এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা করা হয়েছে ৮৭ লাখ ৩২৭টি, আর
বেসরকারিভাবে ৪১ লাখ ৯৭ হাজার ৬৮২টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগী শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ, আর এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ৮১ শতাংশ, আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫২ শতাংশ।
গত
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৪১ জনের মধ্যে পুরুষ ২৭ জন, আর নারী ১৪ জন। তাদের
নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট পুরুষ মারা গেছেন ১৮ হাজার
৩৫৫ জন, আর নারী ১০ হাজার ৩৮৯ জন।
৪১ জনের মধ্যে বয়স বিবেচনায় সর্বোচ্চ
মানুষের মৃত্যু হয়েছে ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে, ১৬ জন। ৪১ থেকে ৫০ আর ৫১
থেকে ৬০ বছরের মধ্যে মারা গেছেন ৬ জন করে, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৭ জন, ৮১
থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে ২ জন, আর ২১ থেকে ৩০
বছরের মধ্যে মারা গেছেন ১ জন।
অধিদফতর জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা
যাওয়া ৪১ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগেই মারা গেছেন ২২ জন। বাকিদের মধ্যে
চট্টগ্রামে ৬ জন, রাজশাহীতে ৫ জন, খুলনা ও রংপুর বিভাগে ৩ জন করে, আর সিলেট
বিভাগে মারা গেছেন ২ জন।
৪১ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৩৬ জন, আর বেসরকারি হাসপাতালে ৫ জন।