ভাষা আন্দোলন বঙ্গবন্ধুই শুরু করেছিলেন: প্রধানমন্ত্রী
Published : Monday, 14 February, 2022 at 12:00 AM
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভাষা আন্দোলন শুরু করেছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারি মাস আমাদের ভাষা আন্দোলনের মাস। ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শেখ মুজিব শুরু করেছিলেন এই আন্দোলন। আমরা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাভাষা, মায়ের ভাষা, মাতৃভাষায় কথা বলার সুযোগ পেয়েছি। বাংলা ভাষা রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ মেরিন অ্যাকাডেমির ৫৬তম ব্যাচ ক্যাডেটদের ‘মুজিববর্ষ গ্র্যাজুয়েশন প্যারেডে’ প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। চট্টগ্রামের মেরিন অ্যাকাডেমি অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী দুজন শ্রেষ্ঠ ক্যাডেটকে 'রাষ্ট্রপতি স্বর্ণপদক' এবং 'বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন পদক' প্রদান করেন।
ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ভাষা আন্দোলনের সংগ্রামের পথ বেয়ে আমরা বাঙালি, আমাদের আলাদা জাতিসত্তা প্রতিষ্ঠা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য বঙ্গবন্ধু যখন সদ্য স্বাধীন একটি দেশকে গড়ে তুলছিলেন, মাত্র সাড়ে তিন বছরে স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা পায়। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট আমরা হারিয়েছি আমাদের আপনজনকে কিন্তু বাংলাদেশ হারিয়েছিল তার উন্নয়নের সব সম্ভাবনাকে। বাংলাদেশের মানুষ যেমন শোষিত-বঞ্চিত ছিল, আবার যেন সেই শোষণ ও বঞ্চনার খপ্পরে পড়ে না যায়।
তিনি বলেন, এরপরে যারা একের পর এক অবৈধভাবে ও সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতায় এসেছে, তারা কখনও দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন বা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র কীভাবে পরিচালিত হবে সেই পদক্ষেপ নেয়নি। তারা দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতিতে বেশি ব্যস্ত ছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব বাণিজ্যের প্রায় ৮০ শতাংশ পরিবহন সমুদ্রপথেই হয়ে থাকে। আমাদের বঙ্গোপসাগর একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। তাই বিশ্ব অর্থনীতিকে গতিশীল রাখতে মেরিন ক্যাডেটদের ভূমিকা অপরিসীম। জীবন ধারণের জন্য খাদ্য, জীবন রক্ষাকারী ওষুধসহ, শিল্পায়নের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি পরিবহন বিঘ্নিত হলে গোটা বিশ্বটাই স্থবির হয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেরিটাইম সেক্টরে যে প্রকল্প গ্রহণ করেছেন, তাতে এই সেক্টরটি বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম জোগানদার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দেখানো পথে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনে যত সংস্থা রয়েছে তার সবগুলোই স্বাধীনভাবে দেশমাতৃকার প্রয়োজনে কাজ করে যাচ্ছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই প্রথম মেরিন অ্যাকাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তারই ধারাবাহিকতায় আপনিই চারটি মেরিন অ্যাকাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছেন, যার কার্যক্রম এরইমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। আপনার নেতৃত্বে আমরা সুনীল অর্থনীতি, এই বঙ্গোপসাগর বিজয় অর্জন করেছি। আপনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সীমান্ত সুরক্ষিত হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শিপিং করপোরেশনকে ৬টি জাহাজ দিয়েছেন। সেখানে প্রতিটিতে দুজন করে নারী ক্যাডেট সমুদ্রে অবস্থান করছেন। সেখানে বাংলাদেশের নারীরা সাহসিকতার কথা তুলে ধরছেন। মেরিন অ্যাকাডেমি নিয়ে যে প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল তা বাস্তবায়ন করা হয়েছে।