ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
আরও দেড় হাজার রোহিঙ্গা গেল ভাসানচরে
Published : Thursday, 17 February, 2022 at 12:00 AM
আওর ৪৮৩টি পরিবারের এক হাজার ৬৫৪ রোহিঙ্গা নাগরিককে নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে।
একাদশ দফায় বুধবার ৩৭টি বাস চট্টগ্রামের উদ্দেশে উখিয়া ছাড়ে।
দুপুর ২টা ও বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে বাসগুলো রওনা দেয় বলে অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা নয়ন জানান।
তিনি বলেন, দুপুরে উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন আশ্রয় শিবির থেকে একাদশ দফায় প্রথম ধাপে ৩৪৫টি পরিবারের এক হাজার ছয় জন রোহিঙ্গাকে নিয়ে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে ১৯টি বাস চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেয়। দ্বিতীয় ধাপে আরও ২০৩টি পরিবারের ৬৪৮ জন রোহিঙ্গাকে নিয়ে ১৮টি বাস রওনা হয়।
রোহিঙ্গাদের চট্টগ্রাম পৌঁছানোর পর ভাসানচরে স্থানান্তরের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান সামছু-দ্দৌজা।
স্থানান্তর প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত সরকারি কর্মকর্তাদের বহনকারী কয়েকটি গাড়িও রওনা হয়েছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
এ সময় অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার বলেন, স্বেচ্ছায় ভাসানচর যেতে আগ্রহ প্রকাশকারী রোহিঙ্গাদের জন্য উখিয়া ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসে একটি অস্থায়ী বুথ খুলে স্বেচ্ছায় ভাসানচর যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের নাম নিবন্ধন করা হচ্ছে।
“শুধু স্বেচ্ছায় ভাসানচর যেতে ইচ্ছে প্রকাশকারী নিবন্ধিত রোহিঙ্গাদের নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”
২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর কক্সবাজারের আশ্রয় শিবিরগুলো থেকে প্রথমবারের মতো রোহিঙ্গাদের নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তরের কার্যক্রম শুরু হয়।
এরপর দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে গত বছরের ৯ অক্টোবর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের সহায়তা কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হওয়ার সম্মতি প্রকাশ করে সরকারের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা- ইউএনএইচসিআর।
এর আগে দশম দফা পর্যন্ত কক্সবাজারের আশ্রয় শিবিরগুলো থেকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছিল ২০ হাজার ৯৪২ জন রোহিঙ্গাকে।
এবারের একাদশ দফায় দুই ধাপের ১ হাজার ৬৫৪ জনসহ মোট ২২ হাজার ৫৯৬ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এক লাখ রোহিঙ্গাকে কক্সবাজারের আশ্রয় শিবিরগুলো থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তর করা হবে – ২০২০ সালে নেওয়া সরকারের এমন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার।
ওই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে বাসস্থানসহ অবকাঠামোগত সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নির্মাণ ও প্রস্তুতি সম্পন্ন করে সরকার।