ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের প্রথম দিনই শক্ত অবস্থানে দাঁড়িয়ে গেছে নিউজিল্যান্ড। দক্ষিণ আফ্রিকাকে মাত্র ৯৫ রানে অলআউট করে ৩ উইকেটে ১১৬ রান নিয়ে দিন শেষ করেছে স্বাগতিকরা। তাদের লিড ২১ রানের।
টেস্টে অটো চয়েজ নন। ট্রেন্ট বোল্টের চোটে মিললো সুযোগ। আর সেই সুযোগটা দুই হাতে লুফে নিলেন ম্যাট হেনরি। কিউই এই পেসার বল হাতে রীতিমত আগুন ঝরালেন, তাতেই পুড়ে ছাই দক্ষিণ আফ্রিকা।
হেনরির বিধ্বংসী বোলিংয়েই (৭/২৩) ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের প্রথম দিনে মাত্র ৯৫ রানে গুটিয়ে গেছে প্রোটিয়ারা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৯০ বছর পর (সর্বশেষ ১৯৩২ সালে) একশর নিচে অলআউট হওয়ার লজ্জায় পড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
ঘরের মাঠে যৌথভাবে সেরা বোলিং ফিগারের রেকর্ড গড়েছেন হেনরি। নিউজিল্যান্ডের টেস্ট ইতিহাসে যৌথভাবে যেটা তৃতীয় সেরা বোলিং। অথচ এই টেস্টের আগে ক্যারিয়ারে ৫ উইকেটই ছিল না ডানহাতি এই পেসারের।
ছয় নম্বরে নামা জুবায়ের হামজার ২৫ রানই প্রোটিয়াদের ইনিংসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। কাইল ভারনানের সঙ্গে তার ৩৩ রানের জুটিটি ইনিংসের সবচেয়ে বড় জুটি! হেনরির তোপে এতটাই তটস্থ ছিলো সফরকারীরা।
বোলিং সহায়ক উইকেটে সকালের বাতাসটা পুরোপরিই কাজে লাগিয়েছেন হেনরি। দক্ষিণ আফ্রিকার ওপরের চার ব্যাটারের কেউই ১৫ রানের বেশি করতে পারেননি। ৪৪ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারানো দলটি ধুঁকতে ধুঁকতে ৪৯.২ ওভারে ৯৫ রানে অলআউট হয়।
জবাবে ৩৬ রানের মধ্যে টম লাথাম (১৫) আর উইল ইয়ংকে (৮) হারায় নিউজিল্যান্ডও। তবে তৃতীয় উইকেটে ৭৫ রানের জুটিতে শুরুর ধাক্কা সামলে নেন ডেভন কনওয়ে আর হেনরি নিকোলস।
দিনের শেষ সময়ে এসে ৩৬ রান করে ফিরেছেন কনওয়ে। এরপর নাইটওয়াচম্যান হিসেবে উইকেটে এসেছেন নেইল ওয়েগনার। তিনি ২ রানে আর নিকোলস ৩৭ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন।