Published : Saturday, 19 February, 2022 at 12:00 AM, Update: 19.02.2022 1:19:36 AM
নিজস্ব
প্রতিবেদক: নখ কামড়ানোর উত্তেজনার ফাইনালে শেষ পর্যন্ত শেষ বলের ফয়সালায়
শেষ হাসি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। ফরচুন বরিশালের মুঠো থেকে জয় বের করে
নিয়ে কুমিল্লা জিতে গেল রেকর্ড তৃতীয় শিরোপা। বিপিএলে কুমিল্লার ঐতিহাসিক
বিজয়ে কুমিল্লার প্রাণকেন্দ্র কান্দিরপাড় পূবালী চত্বরে আনন্দ-উল্লাসে মেতে
উঠে কুমিল্লা নগরীর সকল শ্রেণীর মানুষ। বাজি ফুটিয়ে নেচে-গেয়ে মিছিলে
মিছিলে আনন্দ প্রকাশ করে কুমিল্লাবাসী। অভিনন্দন জানান টিম ভিক্টোরিয়ান্সের
খেলোয়াড় কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে।
রূদ্ধশ্বাস উত্তেজনায় ঠাসা
ফাইনাল শেষ হওয়ার সাথে সাথেই কুমিল্লা শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বের হতে
থাকে বিজয় মিছিল। মিছিলের সব পথ এসে মিলিত হয় নগরীর প্রাণকেন্দ্র
কান্দিরপাড়ে। একের পর এক মিছিল নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমী কুমিল্লার মানুষ জড়ে হয়
কান্দিরপাড় পূবালী চত্ত্বরে। মিছিলে-স্লোগানে রাতের কুমিল্লা হয়ে উঠে
উৎসবের নগরী।
শেষ বলের যে উত্তেজনা- তা জয়ে পরিনত হবার বহিপ্রকাশ দেখাতে
কুমিল্লাবাসী কখনো কার্পণ্য করেনি। বিপিএল-২০২২ এ নিজেদের দল কুমিল্লা
ভিক্টোরিয়ান্স চ্যাম্পিয়ান হবার পর পরই শহরের কান্দিরপাড় পূবালী চত্বরে
নামে উদযাপনের ঢল। কুমিল্লা-কুমিল্লা শ্লোগানে পূবালী চত্বর পরিনত হয়
মিরপুর শের ই বাংলা স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে। মোড়ে মোড়ে জমে থাকা তরুণদের
মোটরবাইক র্যালি, টেলিভিশন দোকানের সামনে জমে থাকা দর্শক, শহরের অপর
প্রান্ত থেকে আসা ঢোল-বাদ্য নিয়ে ট্রাক মিছিল আর ঘরে থেকে আসা
ক্রিকেটপ্রেমিদের থালা বাসনে ঝনঝনানিতে পুরো শহর যেন উদযাপনের নগরীতে পরিনত
হয়। নানা বয়সি মানুষ ‘কুমিল্লা কুমিল্লা’ শ্লোগানের উচ্ছ্বাস যেন কৃতজ্ঞতা
প্রকাশ করে ভিক্টোরিয়ান্সের প্রতি। এ যেন কুমিল্লাবাসীর হৃদয়ের উচ্ছ্বাস
হয়ে ঢল নেমেছে শহরের রাস্তায়।
হাতে করে স্টিলের থালা নিয়ে নগরীর
ঠাকুরপাড়া থেকে আসা কলেজ শিক্ষার্থী রনি জানান, অপেক্ষায় ছিলাম কুমিল্লা
জয়ের। শেষ দিকে হতাশ হয়েছিলাম, কিন্তু বিশ^াস ছিলো কুমিল্লা জিতবে। জয়
নিশ্চিত হয়েই থালাবাসন নিয়ে এলাকার ছেলেরা সবাই বের হয়ে গেছি।
মোগলটুলী
এলাকা থেকে নিজের ছেলে সন্তানকে কাঁধে নিয়ে বিজয় মিছিলে অংশ নেন মুরাদ
আহমেদ। নাচতে নাচতে তিনি বিজয়ের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, তিন তিনবার দেশ
সেরা। এটা চাট্টিখানি কথা নয়। আমরা খুব খুশি। তাই আনন্দ করতে কান্দিরপাড়ে
এসেছি।
বিজয় মিছিলে যোগ দিতে আসা জেলা সাংস্কৃতিক কমকর্র্তা আয়াজ মাবুদ
জানান, আমরা কুমিল্লাবাসী গর্বিত। এই জয় আমাদের সবার। আর কুমিল্লাবাসী
তাদের এতিহ্যবাহী বিজয় মিছিল নিয়ে উদযাপনে এসে জয়ের আনন্দ দ্বিগুণ করে
দিয়েছে।