Published : Saturday, 19 February, 2022 at 12:00 AM, Update: 19.02.2022 1:20:09 AM
নিজস্ব
প্রতিবেদক: কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতিতে দুর্ঘটনার শিকার সিএনজি
অটোরিকশাটি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ওই মহাসড়কে যাত্রী পরিবহন করছিলো। এ
মহাসড়কে তিন চাকার বাহন চলাচল নিষিদ্ধ। পক্ষান্তরে সিএনজিটিকে চাপা দিয়ে ৫
প্রাণ কেড়ে নেওয়া ড্রাম ট্রাকটির ছিলো না নম্বর প্লেইট বা নিবন্ধন।
নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই শুক্রবার সকাল সোয়া ৬টার দিকেট কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে কুমিল্লামুখী একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা যাত্রী নিয়ে
ময়নামতি সেনানিবাস এলাকায় যাচ্ছিল। সিএনজিটি সিন্দুরিয়াপাড়া এলাকায়
আসামাত্র পেছন দিক থেকে একটি ড্রাম ট্রাক প্রথমে ধাক্কা ও পরে চাপা দেয়।
এতে ঘটনাস্থলে পাঁচজন মারা যান। এ ঘটনায় আহত হন দুজন। তাঁদের হাসপাতালে
ভর্তি করা হয়েছে। মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ময়নামতি
হাইওয়ে ত্রসিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর জানান,
এই মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আছে। পুলিশের চোখ ফাঁকি
দিয়ে অনেক ভোরে যাত্রী পারাপার করতে গিয়ে পাঁচজনের প্রাণ গেল।
দুর্ঘটনা
কবলিত যানবাহন পর্যবেক্ষণে থনায় এসে প্রত্যক্ষণদর্শী ও স্থানীয়দের বরাত
দিয়ে বিআরটিএ পরিদর্শক সাইফুল কবির জানান, কুয়াশাচ্ছন্ন ভোরে মহাসড়কের উপর
দাড়িয়ে সিএনজি যাত্রী নামানোর কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। এছাড়া
প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাকটির নাম্বার প্লেইট নাই,
রেজিষ্ট্রেশন নাই। তবে ট্রাকটির রেজিষ্ট্রেন বা নাম্বার প্লেইট নম্বর কেন
নেই কিংবা চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে কি না সে বিষয়গুলোও খতিয়ে দেখা
হবে।
এদিকে কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে চলাচলকারী একাধিক যাত্রী
জানান, এই সড়কে ছোঠ ছোট যানবাহনের আধিক্য বেশি। কম দূরত্বের পথে গণ
পরিবহনের সংকট থাকায় যাত্রীদের বাধ্য হয়ে সিএনজি অটোরিকশা ও লেগুণার মত
ঝুঁকিপূর্ণ যানবাহন ব্যবহার করতে হয়। তবে এ পথে সিএনজিগুলো অনিয়ন্ত্রিভ
ভাবে চলাচলের কারণে এর আগেও একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে মাটি বা
বালুবাহী ট্রাকগুলোও এই সড়ক ধরে দ্রুত গতিতে চলাচল করে। যে কারনে অধিকাংশ
সময় গতির নিয়ন্ত্রণ হারিয়েই দুর্ঘটনায় পতিত হয় এসব ট্রাক। দুর্ঘটনা রোধে এই
সড়কে প্রশাসনের আরো কড়া নজরদারি প্রয়োজন।