ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
বাপ্পি লাহিড়ীর শেষকৃত্যে কেন যাননি, জানালেন মিঠুন চক্রবর্তী
Published : Saturday, 19 February, 2022 at 11:19 AM
বাপ্পি লাহিড়ীর শেষকৃত্যে কেন যাননি, জানালেন মিঠুন চক্রবর্তীবাপ্পি লাহিড়ির গান আর মিঠুন চক্রবর্তীর নাচ- এই ছিল আশির দশকের ব্লকবাস্টার জুটি। বলিউডের ‘ডিস্কো কিং’ বাপ্পি লাহিড়ির মৃত্যুর মধ্যদিয়ে সেই জুটি ভাঙলো গত ১৫ ফেব্রুয়ারি। এ খবর এখনো মেনে নিতে পারছেন না মিঠুন চক্রবর্তী। এমনকি প্রিয় বন্ধুর শেষকৃত্যেও যোগ দেননি। তবে কেন যোগ দেননি বেশ পরে জানালেন সে কথা।

বলিউডে অন্য ধারার নাচ নিয়ে এসেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। তার সে শিল্প যে আলাদা সেটা বাপ্পি লাহিড়ি খুব ভালোভাবে বুঝতে পারতেন বলেই সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানান মহাগুরু। খুব ভালো বন্ধুত্ব ছিল দুজনের মধ্যে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা নাকি চলতো আড্ডা। বেঙ্গালুরুতে থাকাকালীন প্রিয় সেই বন্ধুর মৃত্যুর খবরে ব্যাপক কষ্ট পান মিঠুন। প্রিয় ‘বাপিদা’র নিথর দেহ দেখার মতো অবস্থায় ছিলেন না তিনি। এভাবে বন্ধুকে দেখতেও চাননি। তার হাসিমুখটাই মনে রাখতে চেয়েছেন। সেই কারণেই বাপি লাহিড়ির শেষকৃত্যে যোগ দেননি বলে জানান মিঠুন চক্রবর্তী।

সংবাদ প্রতিদিন জানায়, গত মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে মুম্বাইয়ের ক্রিটিকেয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাপ্পি লাহিড়ি। হাসপাতালের ডিরেক্টর ড. দীপক নমযোশী জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন প্রবীণ এই সংগীত পরিচালক। একাধিক শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। ভর্তি ছিলেন মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে। সেখান থেকে সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু মঙ্গলবার থেকে আবারও তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এরপরই তাকে ক্রিটিকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়াতে (ওএসএ) আক্রান্ত হয়ে সেখানেই রাত ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ভারতের ডিস্কো কিং।

অনেকেই মনে করেন বাপ্পি লাহিড়ি এবং মিঠুন চক্রবর্তী দুজনই ট্রেন্ড সেটার (নতুন ফ্যাশনের পরিচিতি ঘটানো) ছিলেন। মহাগুরু মিঠুন জানান, ওপেন স্টেজেও বাপ্পি লাহিড়ি ছিলেন অনবদ্য। মুম্বাইয়ের কারজাতে তার ফার্ম হাউসেও আসতেন বাপ্পি লাহিড়ি। সেখানেও হতো তাদের আড্ডা।

বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বাপ্পি লাহিড়ির শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। মুম্বাইয়ের জুহুর একটি শ্মশানে হয় তার শেষকৃত্যের আয়োজন। তার শবযাত্রায় স্বজন, শিল্পীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এ সময় আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়।