দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এই প্রথম ইনিংস ব্যবধানে জয়ের স্বাদ পেল নিউ জিল্যান্ড। আর ২০০৪ সালের মার্চের পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের প্রথম টেস্ট জয় এটি। প্রথম ইনিংসে ৯৫ রানে গুটিয়ে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয় ১১১ রানে। এর ফলে ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে নিউজিল্যান্ডের জয় ইনিংস ও ২৭৬ রানে। মূলত ম্যাচের প্রথম দুই দিনেই গড়া হয়ে যায় কিউইদের জয়ের ভিত। তৃতীয় দিন বলা যায় ছিল কেবল জয়-পরাজয়ের ব্যবধান দেখার অপেক্ষা। আড়াই দিনের কম সময়ে রেকর্ড ব্যবধানে জিতে সিরিজে এগিয়ে গেল নিউজিল্যান্ড।
ক্রাইস্টচার্চে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে মাত্র ৯৫ রানে অল-আউট হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ম্যাট হেনরি একাই শিকার করেছিলেন সাতটি উইকেট। মাত্র ২৩ রানের বিনিময়ে সাত উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। ফলে প্রথম দিনেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ড সংগ্রহ করে ৪৮২ রান। শতক হাঁকান হেনরি নিকোলস। ১৬৩ বলে ১০৫ রান করেন তিনি। শতকের খুব কাছে গিয়েও আশাহত হন টম ব্লান্ডেল। ১৩৮ বলে ৯৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। বিধ্বংসী বোলিংয়ের পর ব্যাট হাতেও হার না মানা অর্ধশতক হাঁকান ম্যাট হেনরি। ৬৮ বলে ৫৮ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ড পায় ৩৮৭ রানের বড় লিড। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ডুয়াইন ওলিভিয়ের তিনটি এবং কাগিসো রাবাদা, মার্কো ইয়ানসেন ও এইডেন মারক্রাম দুইটি করে উইকেট নেন।
নিউজিল্যান্ডের রান পাহাড়ের জবাব দিতে নেমে দ্বিতীয় দিনেই আবার ঘোর বিপদে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩ উইকেটে ৩৪ রান নিয়ে সফরকারীরা দ্বিতীয় দিন শেষ করে। টেম্বা বাভুমা ও কাইল ভেরেইন কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন, তবে তাতে কোনো লাভ হয়নি। বাভুমা ৪১ রান ও ভেরেইন ৩০ রান করেন। ৪৬ রানে ৫ উইকেট হারানো দক্ষিণ আফ্রিকা ষষ্ঠ উইকেট হারায় ৮৭ রানে। তারপর ১১১ রানে হয়ে যায় অলআউট। দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেট শিকার করেন টিম সাউদি। টেস্ট ক্রিকেটে এখন সাউদি কিউইদের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে ম্যাচসেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন ম্যাট হেনরি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ৯৫
নিউ জিল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৪৮২
দক্ষিণ আফ্রিকা ২য় ইনিংস: ৪১.৪ ওভারে ১১১ (আগের দিন ৩৪/৩) (ফন ডার ডাসেন ৯, বাভুমা ৪১, হামজা ৬, ভেরেইনা ৩০, ইয়ানসেন ১০, রাবাদা ০, স্টুয়ারম্যান ১১, অলিভিয়ে ০*; সাউদি ১৭.৪-৬-৩৫-৫, হেনরি ১১-৪-৩২-২, জেমিসন ৬-০-২৪-১, ওয়্যাগনার ৭-২-১৯-২)।
ফল: নিউ জিল্যান্ড ইনিংস ও ২৭৬ রানে জয়ী।
সিরিজ: ২ ম্যাচ সিরিজে নিউ জিল্যান্ড ১-০তে এগিয়ে
ম্যান অব দা ম্যাচ: ম্যাচ হেনরি