সীতাকুণ্ড থানার অর্জুন চন্দ্রনাথ হত্যা মামলার প্রধান আসামি ও নিজ স্ত্রীর করা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ইসমাইল প্রকাশ বাহারকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭।
শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) মো. নূরুল আবছার এ তথ্য জানান।
গ্রেফতার মো. ইসমাইল প্রকাশ বাহার (৩২) একই থানার ফৌজদারহাট এলাকার মো. মূছা মিয়ার ছেলে।
র্যাব জানিয়েছেন, ২০১৭ সালের ২৮ আগস্ট সীতাকুণ্ড থানার উত্তর বাঁশবাড়িয়া গ্রামের অর্জুন চন্দ্রনাথ ভূষি কেনার জন্য নগদ ৭০ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বাজারের উদ্দেশ্যে বের হয়। গ্রেফতার ইসমাইলসহ আরও ৪ জন অর্জুন চন্দ্রনাথকে সুলতানা মন্দির ঝুমপাড়া এলাকা থেকে পাহাড়ের দিকে নিয়ে গিয়ে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে হত্যা করে। কুমিরাঘাট সুইচ গেইট শ্মশানখোলার পিছনে একটি খালের পানিতে মরদেহটি ভাসিয়ে দেয়। একই বছর ৩ সেপ্টেম্বর সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মনি রাণী নাথ বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি প্রথমে সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ তদন্ত করে এবং পরবর্তীতে মামলাটি সিআইডি, তদন্ত করে। সিআইডি’র তদন্তে ইসমাইল অর্জুন চন্দ্রনাথ হত্যাকাণ্ডের মূল আসামী হিসেবে শনাক্ত হয়। সিআইডির তদন্ত শেষে ঘটনাটিতে ইসমাইলসহ চার জনের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) মো. নূরুল আবছার জানান, হত্যা পর ইসমাইল দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত হন। শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) কুমিরা বাজারে অভিযান চালিয়ে মো. ইসমাইলকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার ইসমাইল অর্জুন চন্দ্রনাথকে হত্যার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলো বলে জানায়।
তিনি আরও জানান, ২০১২ সালে স্ত্রী রীনা আক্তারকে মারধরের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু দমন ট্রাইবুনালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়। এ মামলায় ইসমাইলের এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।