সৌদি আরবের সঙ্গে অনেকগুলো বিনিয়োগ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করছে সরকার। এছাড়া নিরাপত্তা ও শ্রমিক পাঠানোর বিষয়েও আলাপ হয়েছে। এ নিয়ে সামনে কীভাবে দুই দেশ এগিয়ে যাবে সেটি নিয়েও আলোচনার জন্য সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল-সৌদ আগামী মাসে ঢাকায় আসবেন।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক বলেন, আমাদের দিক থেকে যেসব বিনিয়োগ প্রস্তাব ঝুলে আছে, সেগুলোর যাতে নিষ্পত্তি হয় সেটা তাদের জানিয়ে দেওয়া হবে। যেগুলো সম্ভব নয় সেগুলোও জানানো হবে।
দীর্ঘ আট বছর পরে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর আমাদের জন্য একটি সুযোগ। আমাদের মূল আগ্রহ হচ্ছে বিনিয়োগ এবং অন্যান্য সম্পর্ককে কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায় সেটি নিয়ে আলোচনা করা বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, সৌদি আরবের ভূ-রাজনীতিক স্বার্থ এবং তাদের নিজস্ব সমাজ একটি পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আগে সৌদি আরবকে কর্মী পাঠানোর প্রিজম দিয়ে দেখা হতো। কিন্তু এখন কর্মী নেওয়া ছাড়াও বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অন্যান্য বিষয়ে তাদের আগ্রহ আছে।
বিনিয়োগ প্রস্তাব
জ্বালানি, বিদ্যুৎ, বিমানবন্দর, বন্দরসহ অনেকগুলো প্রকল্পে সৌদি আরবের আগ্রহ রয়েছে। পররাষ্ট্র সচিব বলেন, তাদের ওই আগ্রহের সঙ্গে আমাদের সমন্বয় করতে হবে।
তিনি জানান, কোনও একটি একটি দেশ নির্দিষ্ট কোম্পানির সঙ্গে সংযুক্ত না হয়ে আমরা সুযোগগুলো ছড়িয়ে দিতে চাই।
সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক এবং ওই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরকে বেশ ইতিবাচকভাবে দেখা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশটি আমাদের পুরনো এবং পরীক্ষিত বন্ধু। এছাড় মুসলিম বিশ্বে তাদের অবস্থান প্রথাগতভাবে দৃঢ়।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বহুপক্ষীয় বিভিন্ন ফোরামে বাংলাদেশ ও সৌদি আরব একসঙ্গে কাজ করে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যুতে একদেশ অপরকে সহায়তা দিয়ে থাকে।
তিনি বলেন, বহুপক্ষীয় সহযোগিতা যেমন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক নির্বাচনের বিষয় নিয়েও হয়তো তারা আলোচনা করবে।