বিশ্ব
মঞ্চে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। তবে সে সব ম্যাচ ছিল টি-টোয়েন্টি সংস্করণে।
এবার যাত্রা শুরু হচ্ছে ওয়ানডে বিশ্বকাপে। স্বাভাবিকভাবেই ভীষণ রোমাঞ্চিত
বাংলাদেশ দলের মেয়েরা। অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্েযাতি জানালেন, অভিষেক আসর
স্মরণীয় করে রাখতে উন্মুখ দলের সবাই।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ২০১৪ সাল
থেকে টানা চার আসরে খেলেছে বাংলাদেশ। কিন্তু সুযোগ মিলছিল না ওয়ানডেতে।
করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরনের প্রাদুর্ভাবে জিম্বাবুয়েতে গত বছর বাছাইপর্ব
মাঝপথে বাতিল হয়ে গেলে র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকায় সুযোগ পায় বাংলাদেশ।
বাছাইয়েও অবশ্য ভালো অবস্থানে ছিল তারা।
বিশ্বমঞ্চে এবার নিজেদের
সামর্থ্য দেখানোর সুযোগ নিগারের দলের সামনে। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মতো
শক্তিশালী দল যেমন আছে এখানে, পাকিস্তানের মতো কাছাকাছি মানের দলও আছে
টুর্নামেন্টে। নিজেদের সেরাটা দিতে পারলে একটা ছাপ রাখা অসম্ভব কিছু মনে
হচ্ছে না বাংলাদেশ অধিনায়কের।
ওয়ানডে বিশ্বকাপে এবারই অভিষেক হলেও
ক্রিকেটে তো আর নতুন নয় বাংলাদেশ। ২০১৮ সালে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে হওয়া
নারী এশিয়া কাপে দুইবার ভারতকে হারিয়ে জেতে শিরোপা। সেই অভিজ্ঞতা আর
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার অভিজ্ঞতা থেকে নিগার আশাবাদী, নিউ জিল্যান্ডে
ভালো করবেন তারা।
“আমি মনে করি, এটা আমাদের সবার জন্য বড় সুযোগ। আমরা এর
জন্য কঠোর পরিশ্রম করছি। এটা আমাদের প্রথম বিশ্বকাপ। আমি মনে করি, আমরা
যদি ভালো করি, সেটা বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য হবে বড় একটি ব্যাপার।”
নিউ
জিল্যান্ড নিগারের দলের জন্য পুরোপুরি অচেনা কন্ডিশন। অধিনায়ক জানালেন,
কদিন আগে এখান থেকেই টেস্ট জিতে যাওয়া মুমিনুল হকের দলের কিছুটা সাহায্য
পেয়েছেন তারা।
“ছেলেদের দলের অনেকের সঙ্গেই আমাদের ভালো সম্পর্কে আছে।
তারা এখানকার কন্ডিশন সম্পর্কে ও এখানে কীভাবে খেলা উচিত সে সব নিয়ে কথা
বলেছে।”
প্রথমবারের মতো এসে যেন মানিয়ে নিতে কোনো সমস্যা না হয়, সে জন্য
হাতে বেশ সময় নিযে গত ৩ ফেব্রুয়ারি নিউ জিল্যান্ডের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়েন
নারী ক্রিকেটাররা। লম্বা সময় থেকে অনেকটাই মানিয়ে নিতে পেরেছেন সবাই,
জানালেন অধিনায়ক।
“আমরা এখানে অনেকগুলো উঁচুমানের অনুশীলন সেশন করেছি। উইকেট ও কন্ডিশন বোঝার চেষ্টা করছি। আমি মনে করি, মেয়েরা খুব ভালো করেছে।”
প্রস্তুতি
কেমন হলো, সেটা পরীক্ষা করে নেওয়ার প্রথম সুযোগ আগামী সোমবার। সেদিন
প্রস্তুতি ম্যাচে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। বুধবার খেলবে
পাকিস্তানের বিপক্ষে। দুটি ম্যাচই হবে লিঙ্কনে।
আগামী ৪ মার্চ
তাওরাঙ্গায় স্বাগতিক নিউ জিল্যান্ডের সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের লড়াই দিয়ে শুরু
হবে মেয়েদের মহারণ। পরদিন ডানেডিনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে
অভিযান শুরু করবে বাংলাদেশ।
৮ দলের বিশ্বকাপে প্রাথমিক পর্বে সব দল পরস্পরের বিপক্ষে লড়বে একবার করে। শীর্ষ চার দল খেলবে সেমি-ফাইনালে।
আইসিসি
উইমেন’স চ্যাম্পিয়নশিপ ২০১৭-২০২০ এ ওপরের দিকে অবস্থানের সৌজন্যে
বিশ্বকাপে সরাসরি খেলছে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত।
স্বাগতিক হিসেবে সরাসরি খেলছে নিউ জিল্যান্ড।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান খেলছে বাছাইপর্ব থেকে।