Published : Sunday, 27 February, 2022 at 12:00 AM, Update: 27.02.2022 12:16:57 AM
তানভীর দিপু:
গতকাল
শনিবার প্রথম ডোজের গণটিকা দেয়ার দিনে কুমিল্লা জেলায় ২ লাখ ৬৯ হাজার
মানুষকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে। এই নিয়ে কুমিল্লা জেলায় ৬৮
দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ করোনা টিকার আওতায় এসেছে বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা জেলা
সিভিল মীর মোবারক হোসাইন। গতকাল একদিনে কুমিল্লায় ৩ লাখ মানুষকে টিকা দেয়ার
লক্ষ্য নির্ধারণ ছিলো। জেলায় ৭০১ টি কেন্দ্রে দেয়া হয় এই গণটিকা। এদিকে,
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া ঘোষণা অনুযায়ী ২৬ শে ফ্রেব্রুয়ারি প্রথম ডোজ
টিকা দেয়া শেষ দিন ধার্য্য করা হলেও অধিদপ্তরের ফেসবুক পেইজে জানানো হয় আরো
দুই দিন এই টিকা কর্মসূচি চালানো হবে। কুমিল্লা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগর
পক্ষ থেকে জানানো প্রয়োজন অনুযায়ী টিকা কেন্দ্রগুলো পরিচালিত হবে। জানা
গেছে, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন, কুমিল্লা
মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুমিল্লা মডার্ন স্কুল ও সদর হাসপাতালে সিভিল
সার্জন কার্যালয়ের সামনে টিকা কেন্দ্র থেকে এই গণটিকা কার্যক্রম চালানো
হবে।
এদিকে গতকাল কুমিল্লার বিভিন্ন টিকা কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়,
করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিতে সকাল ৭টা থেকেই বিভিন্ন কেন্দ্রের সামনে লাইন
ধরে দাঁড়িয়ে আছে মানুষ। সকাল ৯ টা থেকে টিকা দেয়ার কথা থাকলেও সকাল ৮ টা
থেকেই শুরু হয় টিকা দান। নারী পুরুষের জন্য আলাদা লাইন করা হলেও উভয়ের
লাইনেই ছিলো সমান সমান। পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শিশুদের জন্য দেয়া হয়
ফাইজার এবং প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য এক ডোজের আমেরিকান জনসনের এক ডোজ টিকা
দেয়া হয় । দিনব্যাপি এই টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অন্তত ১৭ টি
অস্থায়ী টিকা কেন্দ্র চালু থাকে শহরজুড়ে। এছাড়া বিভিন্ন উপজেলায় ইউনিয়ন
ওয়ার্ড পর্যায়ে দেয়া হয় টিকা। কুমিল্লা মডার্ন স্কুল কেন্দ্রে শিশুদের জন্য
কেন্দ্রটিও সচল রাখা হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয় ও সিটি কর্পোরেশন
সূত্রে জানা গেছে, মডার্ন স্কুল (শিশুদের জন্য), রাজগঞ্জ এলাকায় মনোহরপুর
আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চকবাজার- আলিয়া মাদ্রাসা, কান্দিরপাড়ে
টাউন হল মাঠ, পদুয়ার বাজার হাজী আক্রাম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, জাঙ্গালিয়া
বাস স্ট্যান্ড, ধর্মপুর রেলওয়ে হাই স্কল, আলেখার চর- ট্রাক ড্রাইভারদের
জন্য স্থাপিত স্ট্যান্ড এবং কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন সরসরি তাদের নিজস্ব
৮টি কেন্দ্র পরিচালনা করে গতকাল।
কুমিল্লা টাউন হলে স্থাপন করা অস্থায়ী
কেন্দ্রে টিকা নিতে আসা সংরাইশ এলাকার ব্যবসায়ি রহমান জানান, নিবো নিবো
করে টিকা নেয়া হয় নি। আর দেয়া হবে না জনে দ্রুত টিকা দিতে আসলাম।
কান্দিরপাড়ে কেন্দ্র করায় ভালো হয়েছে, দোকান থেকে কম সময়ের মধ্যে এসে টিকা
দিয়ে গেলাম। যদিও অনেক ভিড় ছিলো।
একই কেন্দ্রে টিকা নিতে আসেন চর্থা
এলাকার রিকশা চালক গাইবান্ধার আশেক মিয়া। তিনি জানান, তারা কয়েকজন রিকশা
রেখে একসাথে টাউন হলে এসেছি টিকা নিতে। কাজে কর্মে ব্যস্ত থাকায় আগে টিকা
নেয়া হয় নি। এরকম ভাবে কেন্দ্র করে টিকা দেয়া হলে মানুষ আগে সহজে টিকা নিতে
পারতো।
কুমিল্লার ডেপুটি সিভিল সার্জন নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী জানান,
শিশুদের জন্য দুই ডোজের ফাইজার দেয়া হবে। আর যারা ভ্রাম্যমান পেশাজীবী
মানুষ তারা দুই ডোজের টিকা নিয়ে যেন কোন ঝক্কি পোহাতে না হয় তাদের জন্য
জনসনের টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আমরা আশা করছি লক্ষ্যমাত্রা
অনুযায়ী সবাইকে টিকা দেয়া সম্ভব হবে।