ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসনের আঁচ লেগেছে ক্রীড়াঙ্গনেও। বিশেষ করে ইউরোপের বিভিন্ন ফুটবল ক্লাবে এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন খেলোয়াড়, স্টাফসহ সংশ্লিষ্ট অনেকেই।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউরোপা লিগের নকআউট প্লে-অফের ফিরতি ম্যাচের আগে ‘যুদ্ধ বন্ধ কর’ লেখা ব্যানার নিয়ে এক কাতারে দাঁড়িয়েছিলেন বার্সেলোনা ও নাপোলির খেলোয়াড়রা।
চ্যাম্পিয়নস লিগের গোল উদযাপনেও লিসবনে গত বুধবার ইউক্রেনের জাতীয় প্রতীক দেখিয়ে দেশকে সমর্থন জানান বেনফিকার ডিফেন্ডার ইয়ারেমচুক।
এবার রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরোধিতায় পদক্ষেপ নিল পোল্যান্ড। রাশিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্লে-অফ ম্যাচ খেলতে অস্বীকৃতি জানাল দেশটি।
আগামী ২৪ মার্চ মস্কোতে প্লে-অফের সেমিফাইনালে রাশিয়ার মুখোমুখি হওয়ার কথা পোল্যান্ডের। আরেক সেমিতে দেখা হবে সুইডেন ও চেক প্রজাতন্ত্রের। দুই সেমিফাইনালের বিজয়ী দল কাতার বিশ্বকাপের টিকিটের লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে ফাইনালে।
এর আগে তিন দলই আভাস দিয়েছিল, রাশিয়ায় খেলতে রাজি নয় তারা।
শনিবার পোল্যান্ড সাফ জানিয়ে দিয়েছে, রাশিয়ায় তো নয়ই, রাশিয়ার বিপক্ষেই খেলবেই না তারা। একই সিদ্ধান্ত নিতে সুইডেন ও চেক প্রজাতন্ত্রকেও আহ্বান জানিয়ে পোল্যান্ড।
তবে ফিফা পোল্যান্ডের সিদ্ধান্ত মেনে না নিলে কাতার বিশ্বকাপে দেখা যাবে না পোলিশদের। তাতেও আপত্তি নেই পোল্যান্ড অধিনায়ক রবার্ট লেওয়ানডোস্কির।
দেশ ও ফেডারেশনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বায়ার্ন মিউনিখ তারকা।
এক টুইটে লেওয়ানডোস্কি লিখেছেন , ‘এটাই সঠিক সিদ্ধান্ত। ইউক্রেনের ওপর সশস্ত্র আগ্রাসনের এই কঠিন সময়ে রাশিয়ার সঙ্গে খেলার কথা ভাবতেও পারছি না আমি। রাশিয়ার ফুটবলার ও সমর্থকরা এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী নয়, কিন্তু আমরা এমন ভান করতে পারি না, যেন কিছুই হচ্ছে না।’
এদিকে সামরিক আগ্রাসন বন্ধে রাশিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পদক্ষেপ নিয়েছে ইউনিয়ন অব ইউরোপিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনও।
এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের ভেন্যু রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে প্যারিসে সরিয়ে নিয়েছে উয়েফা।