ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
কুমিল্লার ৭০শতাংশ মানুষ পেয়েছেন করোনার টিকা
Published : Wednesday, 2 March, 2022 at 12:00 AM, Update: 02.03.2022 12:52:34 AM
কুমিল্লার ৭০শতাংশ মানুষ পেয়েছেন করোনার টিকা তানভীর দিপু ||
করোনার টিকার প্রথম ডোজ প্রদানের গণটিকা শেষে কুমিল্লা জেলায় ৭০শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন। তিনি জানান, এক বছরে জেলার জনগোষ্ঠীর ৭০ভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনায় একটি মাইলফলক অর্জিত হয়েছে। গণটিকায় ৩ লাখ মানুষকে টিকা দানের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হলেও ৩ লাখ ৩০ হাজার মানুষকে টিকা দেয়া হয়। মানুষ উৎসাহ উদ্দিপনা নিয়ে যে হারে টিকা নিয়েছে কুমিল্লার শতভাগ মানুষকে দ্রুত টিকার আওতায় সহজে আনা যাবে বলে মনে করছে স্বাস্থ্যবিভাগ।
এদিকে যারা এখনো টিকা নেয় নি তারা  নিবন্ধন করে টিকার জন্য আসার নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। কুমিল্লায় সবচেয়ে বেশি টিকা নিয়েছে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকায়। এছাড়া বিভিন্ন উপজেলায়ও টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেছে।
সিভিল সার্জন জানান, টিকা গ্রহিতাদের মধ্যে বেশিরভাগই ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সী। বিদেশগামীদের মধ্যে টিকা গ্রহনের আগ্রহ বেশি। তবে স্কুল শিক্ষার্থীরাও অধিকাংশ টিকার আওতায় এসেছে। পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠীর যারা টিকার আওতায় নিবন্ধন করে আসতে পারে নি, তাদের জন্য গণটিকা কাজে এসেছে। করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষায় টিকা গ্রহনের এই হার সবাই অনেকটাই সুরক্ষিত রাখবে।কুমিল্লার ৭০শতাংশ মানুষ পেয়েছেন করোনার টিকা এদিকে,  কুমিল্লা জেলায় করোনা শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে।ে জলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ১৯২ জনের করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া গেছে। শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৭ শতাংশ।
এছাড়া কুমিল্লায় বিদেশগামীসহ আরও ১৬ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গত সোমবার বিকেল ৫টা থেকে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এটি শনাক্ত হয়। এই সময়ে কেউ মারা যাননি। তবে সুস্থ হয়েছেন আরও ১০ জন।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে এ তথ্য জানায় কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়।
গত ২৪ ঘন্টায়,  কুমিল্লায় পরীক্ষার জন্য ২ লাখ ২৩ হাজার ৯৮৪ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এসেছে ২ লাখ ২২ হাজার ২৬৩ জন। এর মধ্যে ৪৩ হাজার ৪০ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এ পর্যন্ত জেলায় সুস্থ হয়েছেন ৪০ হাজার ২৮৬ জন। আর মারা গেছেন ৯৮০ জন।