ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
জয়ের প্রাপ্তি বিশাল হারে বিলীন
Published : Sunday, 6 March, 2022 at 12:00 AM
বোলারদের নৈপুণ্যে প্রথম ম্যাচে জয় পেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানদের বিপক্ষে রেকর্ড হারের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। শনিবার ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং কোন বিভাগেই ভালো করতে পারেনি স্বাগতিকরা। ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ৯ উইকেটে ১১৫ রান তোলে বাংলাদেশ। জবাবে ১৪ বল বাকি থাকতেই ৮ উইকেটে জয় নিশ্চিত করেছে আফগানিস্তান। টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ করেছে ১-১ সমতায়।
রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারাতে পারতো আফগানিস্তান। নাসুমের ডেলিভারিতে শূন্যে বল তুলে দেন জাজাই, কিন্তু সেটি তালুবন্দি করতে পারেননি তিনি। এর পরের ওভারেই সাফল্য পান আরেক স্পিনার মেহেদী হাসান। তার ঘূর্ণিতে মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আফগান ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ (৩)। শুরুতে উইকেট হারালেও জাজাই ও ঘানির ব্যাটে প্রতিরোধ গড়েছে সফরকারীরা।
দ্বিতীয় উইকেটে ৯৯ রানের দুর্দান্ত এক জুটিতে দলকে জয়ের কাছাকাছি পৌছে দেন তারা। জয় থেকে মাত্র ১৭ রান দূরে থাকতে ৪৮ বলে ৪৭ রান করে উসমান ঘানি ফেরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের শিকার হয়ে। এরপর দারউইশ রাসুলির সঙ্গে জুটি গড়ে দলকে জয় এনে দিয়েই মাঠ ছাড়েন হজরতউল্লাহ জাজাই। ৪৫ বলে ৫৯ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন জাজাই। তিন চার এবং পাঁচ ছয়ে দুর্দান্ত ইনিংসটি সাজান জাজাই।
বাংলাদেশের হয়ে একটি করে উইকেট নেন মেহেদী হাসান এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। আগের ম্যাচে অভিষেক হওয়া ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার আজ বিদায় নিয়েছেন ৪ রান করেই। এরপর ১০ বলে ১৩ রান করে আফগান পেসার আজমতুল্লাহ ওমরাইজ্যের বলে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন আগের ম্যাচের নায়ক লিটন (১৩)। কিছুক্ষণ পর বিদায় নেন ধুঁকতে থাকা নাঈম শেখও। শুরু থেকেই নড়বড়ে ব্যাটিং করতে থাকা নাঈম ১৯ বলে ১৩ রান করে করিম জানাতের সরাসরি থ্রোয়ে রান আউট হয়ে ফিরেছেন।
৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের দরকার ছিল একটি বড় জুটি। কিন্তু রান রান তোলার চাপে বিদায় নিলেন সাকিবও। ওমরজাইয়ের বলে মারতে গিয়ে উইকেটের পেছনে বল তুলে দেন আকাশে। সেটি তালুবন্দি করেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। ১৫ বলে ৯ রান করেন তিনি। পঞ্চম উইকেট জুটিতে মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ মিলে দলের হাল ধরেন। কিন্তু জুটিটা বড় করা হয়নি। দুজনের জুটি থেকে আসে ৩১ বলে ৪৩। ১৪ বল খেলে ২১ রানে আউট হন রিয়াদ। এই ম্যাচে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ২ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন মাহমুদউল্লাহ।
দলীয় রান ১০০ ছোঁয়ার আগেই বিদায় নেন মুশফিকও। শততম ম্যাচে ইনিংসের হাল ধরলেও ২৫ বলে ৩০ রান করে আফগান পেসার আজমতুল্লাহ ফারুকির বলে মোহাম্মদ নবির হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন তিনি। এরপর মেহেদী হাসানকে শূন্য রানেই বিদায় করেন ফারুকি। বাঁহাতি ব্যাটার আফিফ হোসেনও (৭) ব্যর্থ। ওমরজাইয়ের তৃতীয় শিকার হয়ে ফেরেন তিনি। এরপর ইয়র্কারে বোল্ড হয়ে ফারুকির তৃতীয় শিকান হন শরিফুল ইসলাম (০)। শেষদিকে ৫ বলে ৬ রান করে দলীয় সংগ্রহ ১১৫তে নিয়ে যান মোস্তাফিজ।
বল হাতে আফগানিস্তানের ওমরজাই ও ফারুকি ৩টি করে এবং নবি ও রশিদ ১টি করে উইকেট নেন।