ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
দেবীদ্বারে ভূমিহীন সংগঠনের উদ্যোগে আলোচনা সভা
Published : Wednesday, 9 March, 2022 at 12:00 AM
নারীদের পর্দার আড়ালে রেখে উন্নয়ন ও সমতা আনয়ন সম্ভব নয়
এবিএম আতিকুর রহমান বাশার ঃ
মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার ওয়াহেদপুর গ্রামে ভূমিহীন সংগঠনের উদ্যোগে ‘ভেঙ্গে ফেলুন পক্ষপাতিত্বের মানষিকতা’-এ স্লোগানকে সামনে রেখে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের আলোচনা সভায় ভূমিহীন নেত্রী রোকেয়া বেগমের সভাপতিত্বে এবং নিজেরা করি সংস্থা কুমিল্লা জেলা অঞ্চল সমন্বয়ক আব্দুল জব্বারের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন সাংবাদিক এবিএম আতিকুর রহমান বাশার। বিশেষ অতিথি ছিলেন সুবিল ইউপি’র নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার মুকুল ভূঁইয়া, মোঃ ফজলুল হক হিরন, সাংবাদিক সফিউল আলম রাজীব, ডাঃ সুমন আহমদ।
অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন রসুলপুর ভূমিহীন আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক কবি আব্দুল হান্নান মূন্সী, ভূমিহীন নেতা রীনা আক্তার। নারী দিবসের আলোচনা সভাশেষে শপথ বাক্য পাঠ করান রসুলপুর ভূমিহীন আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি আব্দুল বাতেন সরকার।
আলোচকরা বলেন, নারীদের পর্দার আড়ালে বা গৃহবন্দি রেখে উন্নয়ন ও সমতাআনয়ন সম্ভব নয়। জার্মান সমাজতন্ত্রী নেত্রী ক্লারা জেটকিনের নেতৃত্বে ১৮৫৭ সালে সূতা কলের নারী শ্রমিকরা প্রথম মজুরী বৈষম্য, কর্মঘন্টা নির্ধারণ ও কাজের অমানবিক পরিবেশের বিরুদ্ধে রাজপথে নামেন। ১৯০৭ সাল থেকে ১৯৩৩ সাল পর্যন্ত সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক প্রগতিশীল নারীদের ফ্রন্ট’র আন্তর্জাতিক সম্পাদিকা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ক্লারা জেটকিনের নেতৃত্বে ১৯০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী নিউইয়র্ক’র সোশ্যাল ডেমোক্রেট নারী শ্রমিকদের এক সম্মেলনে ৮ মার্চ নারী দিবস ঘোষণা করেন এবং ১৯১০সালে ডেনমার্কের কোপেনহেগে অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় বিশ^ নারী সম্মেলনে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করতে বিশ^বাসীকে আহবান জানান। ওই সম্মেলনে ১৭ দেশের ১০০ নারী নেত্রী উপস্থিত ছিলেন। পরবর্তীতে ১৯১১সালের সম্মেলনে নারীদের সমঅধিকার দিবস হিসেবে পালিত হয়। বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জনের পূর্ব থেকেই দিবসটি পালন করে আসলেও ১৯৮৪ সালে দিবসটিকে জাতিসংঘ কর্তৃক ‘৮ মার্চ আন্তার্জাতিক নারী দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার পর বাংলাদেশও সরকারীভাবে দিবসটি পালন করে আসছে। শতাব্দীর বেশী সময় ধরে (১১২বছর) আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হয়ে আসলেও এখনো নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়নি। এখনো নারীরা তাদের সমতা, অধিকার, নিরাপত্তা, কর্মঘন্টা এবং মানবিক নিরাপদ পরিবেশের জন্য লড়াই করে আসছে।