স্বামী পাশের ঘরে বসে মাদরাসার কাজ করছিলেন। অপর ঘরে দুই বাচ্চাকে ঘুম পাড়াতে যান শাহিদা বেগম। বাচ্চাদের ঘুম পাড়িয়ে ফাঁসিতে ঝুললেন শাহিদা। এ খবর পেয়ে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করেছে। বুধবার রাতে বরিশাল মহানগরের আমির কুটির এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শাহিদা পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ইমরান হোসেন স্ত্রী। ইমরান একটি মাদরাসার পরিচালক।
কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, শাহিদা বেগম সন্তানদের নিয়ে বরিশাল নগরের ১৫নং ওয়ার্ডের আমিরকুটির এলাকায় থাকতেন। তার স্বামী একটি মাদরাসার পরিচালক।
এ বিষয়ে ইমরান বলেন, রাতে বাচ্চাদের নিয়ে ঘুমাতে যায় শাহিদা। আমি পাশের রুমে কিছু কাজ করছিলাম। হঠাৎ একটা শব্দ শুনে রুমে গিয়ে দেখি তিনি (স্ত্রী) গলায় ফাঁস দিয়েছেন। খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি টিম গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের মধ্যে কোনো ঝামেলা ছিল না। কি কারণে তিনি আত্মহত্যা কররেছেন বুঝতে পারছি না।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন বলেন, এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা সেটা এখনি বলা যাচ্ছে না। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে আমাদের তদন্ত চলছে। যেহেতু একই বাসার ভেতরে ঘটনা ঘটেছে তাই সন্দেহ হচ্ছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা হয়নি।
তিনি আরো বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।