বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হয় গত ২৯ জানুয়ারি। প্রায় দেড় মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদটি নিয়ে সুরাহা হয়নি এখনও।
সম্পাদকের চেয়ার রীতিমতো যুদ্ধ চলছে জায়েদ খান ও নিপুণ আক্তারের মধ্যে। বিষয়টি নিয়ে তাদের আইনি লড়াইয়ের সমাধান এখন আদালতের হাতে, যা সুরাহা হতে এখনো চার সপ্তাহ সময় লাগবে।
সেই পর্যন্ত সহ-সাধারণ সম্পাদক সাইমন সাদিককে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করার কথা বলছেন অনেকেই। সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চনও সাইমনের বিষয়ে আগ্রহী।
কিন্তু সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নিতে তেমন একটা আগ্রহী নন ‘পোড়ামন’ খ্যাত অভিনেতা।
আদালতের রায়ের জন্য প্রতীক্ষা করতে চান তিনি।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে সাইমন বলেছেন, ‘এমন পরিস্থিতিতে হয়তো সংগঠনের কার্যক্রমকে গতিশীল করার জন্য আমাকে দায়িত্বটি নিতে বলেছেন কাঞ্চন ভাই। তিনি সিনিয়র অভিনেতা, কিংবদন্তিতুল্য। তিনি আমাকে অত্যন্ত ভালোবাসেন, অনেক স্নেহ করেন। তাই এমনটি চান তিনি। তবে আমি আমি সহ-সাধারণ সম্পাদক হয়েই থাকতে চাই। কাঞ্চন ভাইকে বিনয়ের সঙ্গে বলেছি, এই মুহূর্তে এত বড় দায়িত্ব কাঁধে নিতে চাই না। তা ছাড়া আদালতের রায়ের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। আশা করছি, নিপুণ আপারই জয় হবে। তিনিই চেয়ারটিতে বসবেন। ’
তবে সমিতির স্বার্থে যে কোনো দায়িত্ব দেওয়া হলে তা পালনে পিছপা হবেন না বলে জানিয়েছেন এ অভিনেতা।
উল্লেখ্য, ৭ মার্চের রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন জানান, শিল্পী সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে সহ-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত সাইমন সাদিক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।
আগামী বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপন করে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে; আদালতের রায়ে জায়েদ খান কিংবা নিপুণ আক্তারের মধ্যে কেউ দায়িত্ব পাওয়া পর্যন্ত সাইমন এ দায়িত্বে থাকতে পারেন বলে ধারণা দেন ইলিয়াস কাঞ্চন।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত।
গত ৬ মার্চ আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের চেম্বার জজ আদালতে এ আদেশ দেন।