কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে শনিবার সকালে দ্রুতগামী যাত্রীবাহী বাসের চাপায় সিরাজ খান নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। পৃথক ঘটনায় শুক্রবার রাতে ট্রাক্টর চাপায় আলমগীর হোসেন নামের আরও এক যুবক নিহত হয়েছেন। নিহত আলমগীর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের সেনেখীল গ্রামের মৃত আবদুল ওয়াহাবের ছেলে, সিরাজ খান নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চমির মুন্সির গ্রামের বাসিন্দা। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন। চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মনজুরুল হক জানান, সকাল সাড়ে নয়টায় তিনি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গাংরা নামক স্থানে সরকারি কাজে গিয়েছিলেন। ফেনী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী স্টার লাইন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস এসময় রাস্তার পারপারের সময় সিরাজ খানকে চাপা দেয়। এ সময় গুরুতর আহত অবস্থায় সিরাজ খানকে তাঁর সরকারি গাড়িতে করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে চিকিৎধীন অবস্থায় মৃত্যুবরন করেন। ইউএনও আরো জানান, স্থানীয় জনতার সাহায্যে বাসটি আটক করে মিয়াবাজার হাইওয়ে থানায় সোপর্দ করেছে।
অপর দিকে শুক্রবার রাতে উপজেলার নানকরার কাঠাল গাছতলা এলাকায় ট্রাক্টর চাপায় আলমগীর হোসেন নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। পৌরসভার ৭ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম শাহীন জানান, নিহত আলমগীর হোসেন নিজের ট্রাক্টরটি চালক ছিল। কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে কাঠাল গাছতলা এলাকায় পৌছালে ওই এলাকার আবদুল মান্নানের ইট ভাঙ্গার মেশিনের হুক ভাঙে বিপরীত থেকে আসা আলমগীরের ট্রাক্টরটিকে স্বজোড়ে থাক্কা দিলে মুহুর্তের মধ্যেই চালক আলমগীর ট্রাক্টরের চাকার নিচে পড়ে যায়। এতে ঘটনারস্থলে তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত আলমগীরের ভাই কামাল হোসেন বলেন, নিহত আলমগীর এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক। ট্রাক্টর চালিয়ে সে জীবিকাহ নির্বাহ করতো। তাঁর মৃত্যুতে ছেলে মেয়েরা অসহায় হয়ে পড়েছে।
মিয়াবাজার হাইওয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, বৃদ্ধ নিহত হওয়ার ঘটনায় স্থানীয় জনতার সহায়তায় ইউএনও স্যার বাসটি আটক করে আমাদের কাছে সৌপর্দ করেছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।