বলা হয়ে থাকে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর প্রিয় প্রতিপক্ষ অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ। এই দলটির বিপক্ষে ৩৬ বার মুখোমুখিতে ২৫টি গোল আছে তার। রয়েছে ৯টি অ্যাসিস্টও। চ্যাম্পিয়নস লিগে শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে সেই প্রতিপক্ষের বিপক্ষেই নিষ্প্রভ থাকলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড প্রাণভোমরা। তাদের বিদায় দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে নিজেদের ঘরের মাঠে রোনালদোরা দ্বিতীয় লেগে হেরেছে ১-০ গোলে। দুই লেগ মিলিয়ে সিমিওনের দল এগিয়ে ছিল ২-১ ব্যবধানে।
আগের লেগেও হারের মুখে ছিল ম্যানইউ। তরুণ অ্যান্থনি অ্যালাঙ্গার গোলেই শেষ রক্ষা হয়েছিল। টিনএজ ফরোয়ার্ড এই ম্যাচেও ১২ মিনিটে গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু তার শট রুখে দিয়েছেন প্রতিপক্ষ গোলকিপার ইয়ান ওবলাক। এই অর্ধের মাঝামাঝি অ্যাতলেতিকোও জাল কাঁপিয়েছিল। কিন্তু হোয়াও ফেলিস্ককে অ্যাসিস্ট করা লরেন্তে অফসাইড পজিশনে থাকায় বাতিল হয়ে যায় তা।
সর্বশেষ ম্যাচ থেকে তিনটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছিল ইউনাইটেড। শুরুর একাদশে ছিলেন ব্রুনো ফার্নান্দেস। বেঞ্চে থাকতে হয় পল পগবা ও মার্কাস র্যাশফোর্ডের।
পুরো ম্যাচে সিমিওনের দল রক্ষণাত্মক ও প্রতিআক্রমণ নির্ভর ফুটবলের প্রদর্শনী করলেও ম্যানইউ ছিল বাক্সবন্দী। গোলের জন্য যেরকম নিবেদন দরকার ছিল তা ছিল অনুপস্থিত। বিপরীতে সুযোগ পেয়ে ৪১ মিনিটে ঠিকই কাঙ্ক্ষিত লিড নিয়ে নেয় সফরকারীরা। আন্তোয়ান গ্রিজমানের ভাসানো ক্রস থেকে লাফানো হেডে জাল কাঁপিয়ে দেন লোডি।
অবশ্য এই গোলটি ওই মুহূর্তের পরেই এসেছে, যখন ফাউলের আবেদন নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিল ম্যানইউ। এলাঙ্গার কাছ থেকে অ্যাতলেতিকো বলের দখল নেওয়ার সময় মনে হচ্ছিল ম্যানইউ ফরোয়ার্ড ফাউলের শিকার হয়েছিলেন। কিন্তু রেফারি ভিনিচ সাড়া দেননি তাতে।
চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকেও বিদায় নিশ্চিত হওয়ায় ম্যানইউর শিরোপা খরা অব্যাহত থাকলো প্রায় ৫টি বছর! এরই মধ্যে এফএ কাপ থেকে তাদের বিদায় নিশ্চিত হয়েছে। প্রিমিয়ার লিগে শীর্ষে থাকা ম্যানসিটির কাছ থেকেও রয়েছে ২০ পয়েন্ট দূরে।
অপর ম্যাচে আয়াক্সকে দ্বিতীয় লেগে ১-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বেনফিকা। প্রথম লেগটি শেষ হয়েছে ২-২ গোলে। দুই লেগ মিলিয়ে বেনফিকা এগিয়ে ছিল ৩-২ গোলে।