ম্যাচের শুরু থেকেই এগিয়ে রাখা হচ্ছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে। যেহেতু দিল্লি ক্যাপিটালসের বেশ কয়েকজন ‘বিদেশি’ দলে যোগ দিতে পারেননি। জাতীয় দলের হয়ে খেলছেন ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ। লুঙ্গি এনগিদি ও মোস্তাফিজুর রহমান যোগ দিলেও রয়েছেন কোয়ারেন্টিনে। এমন খর্বশক্তি নিয়েও নিজেদের প্রথম ম্যাচে মুম্বাইকে ৪ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে দিল্লি। তাও আবার ১০ বল হাতে রেখে।
১৭৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা দিল্লির জয়ের মূল নায়ক অক্ষর প্যাটেল আর ললিত যাদব। দুজনের আগ্রাসী ব্যাটিংই দলকে জেতানোর জন্য ছিল যথেষ্ট। অথচ একটা সময় মনে হচ্ছিল দিল্লি বুঝি এই লক্ষ্যের ধারেও যেতে পারবে না। ১০৪ রানেই হারিয়ে বসে ৬ উইকেট। ১৫ ওভার শেষেও স্কোরটা আশাপ্রদ ছিল না- ৬ উইকেটে ১২২। অক্ষর কিছুক্ষণ আগেই ক্রিজে এসেছেন। কিন্তু ১৬তম ওভার থেকেই ম্যাচ পরিস্থিতি বদলে ফেলতে থাকেন অক্ষর-ললিত। চাহিদা মিটিয়ে বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারি মেরে লক্ষ্যটাকে নিয়ে আসেন সাধ্যের মধ্যে। ১৮তম ওভারে দুজনের মধ্যে অক্ষরকে বেশি আগ্রাসী ভঙ্গিতে মারতে দেখা গেছে। এই ওভারে অক্ষর মারেন দুটি ছয়। ললিত একটি ছয়ের সঙ্গে মারেন একটি চার। ফলে এই ওভারেই রান উঠে আসে ২৪।
জয়ের জন্য ১৯তম ওভারে দরকার পড়ে ৪ রান। ললিত একটি সিঙ্গেল নিলে পরের বলে চার মেরে দুর্দান্ত একটি জয় নিশ্চিত করেছেন অক্ষর। এই জুটি শেষ ৫ ওভারেই মূলত ম্যাচটা জিতে নিয়েছে। তুলেছে ৭৫টি রান!
ললিত ৩৮ বলে ৪টি চার ও ২ ছক্কায় ৪৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। ১৭ বলে ৩৮ রানে অপরাজিত ছিলেন অক্ষর। তার ইনিংসে ২টি চারের বিপরীতে ছিল ৩টি ছক্কার মার। তাদের আগে পৃথ্বি’শ ২৪ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলেছেন।
মুম্বাইয়ের হয়ে ৩৫ রানে ৩ উইকেট নেন বাসিল থাম্পি। ১৪ রানে দুটি নেন মুরুগান অশ্বিন। সবচেয়ে ব্যয়বহুল ছিলেন ড্যানিয়েল স্যামস ও জসপ্রীত বুমরাহ। এ দুজনে মিলেই ৭.২ ওভারে দিয়েছেন ১০০ রান!
এর আগে খর্বশক্তির বোলিং নিয়ে মুম্বাইকে বড় সংগ্রহ পাওয়া থেকে রুখে রাখতে পারেনি দিল্লি। ওপেনার রোহিত শর্মার ৪১ রানের পর এক ইশান কিশানের অপরাজিত ৮১ রানই বড় সংগ্রহ পেতে ভূমিকা রেখেছে। বাকি ব্যাটাররা বড় ইনিংস খেলতে না পারলেও ইশান ৪৮ বলে ১১টি চার ও ২ ছক্কায় দিল্লির বোলারদের নাকানি চুবানি খাইয়েছেন। তাতে ৫ উইকেটে ১৭৭ রান পায় মুম্বাই।দিল্লির হয়ে ১৮ রানে ৩ উইকেট নেন কুলদীপ যাদব। ২টি নেন খলিল আহমেদ।