অবিশ্বাস্য বললেও হয়তো কম বলা হবে। তিন ওভার বল করে মাত্র এক রানের বিনিময়ে সাত-সাতটি উইকেট! যে কোনও স্তরের, যে কোনো ফরম্যাটের ক্রিকেটেই এমন রেকর্ড ভাবনা-চিন্তার বাইরে। ঠিক তেমনটাই করে দেখালেন জিম্বাবুয়ের পেসার এস্থার এমবোফানা। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
নারীদের টি-২০ কাপে হ্যাটট্রিকসহ ৭ উইকেট দখল করে নিজেকে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখান। তিনি ৮টি ওয়ানডে ও ৬টি আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন। তার দল ঈগলস ৯৬ বল বাকি থাকতে ৯ উইকেটে ম্যাচ জেতে।
হারারেতে মাউন্টেনিয়ার্সের বিরুদ্ধে ম্যাচ ছিল ঈগলসের। টস জিতে মাউন্টেনিয়ার্স শুরুতে ব্যাট করতে নামে। তারা ৬.২ ওভারে মাত্র ১৪ রানে অল-আউট হয়ে যায়। দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৯ রান করে অপরাজিত থাকেন নিয়াশা গোয়ানজুরা। বাকিদের মধ্যে খাতা খুলেছেন কেবল লরিন ফিরি (১) ও প্যাট্রিসিয়া মুতেম্বো (১)। ৩ রান আসে অতিরিক্ত হিসেবে। ৮ জন ব্যাটার শূন্য রানে আউট হন।
এমবোফানা ৩ ওভারে ২টি মেডেনসহ ১ রানের বিনিময়ে ৭টি উইকেট নেন। স্বাভাবিকভাবেই এটি ছেলে ও মেয়েদের ক্রিকেট মিলিয়ে টি-২০ ফর্ম্যাটে সেরা বোলিংয়ের বিশ্বরেকর্ড।
এস্থার নিজের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলে (১.২ ওভার) আউট করেন ফিরিকে। নিজের দ্বিতীয় ওভারে বল করতে এসে ৩টি উইকেট তুলে নেন তিনি। ৩.১, ৩.২ ও ৩.৪ ওভারে তিনি আউট করেন যথাক্রমে মাজভিসায়া, প্রেসিয়াস ও মাথেমাকে। নিজের তৃতীয় ওভারে পরপর তিন বলে (৫.৩, ৫.৪, ৫.৫ ওভারে) প্যাট্রিসিয়া, চিতোম্বো ও মোনিককে আউট করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন এস্থার। ম্যাচে মোট পাঁচজন ব্যাটারকে বোল্ড করেন এমবোফানা। এছাড়া ১৩ রানে ২টি উইকেট নেন মিচেল।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ঈগলস ৪ ওভারে ১ উইকেটের বিনিমেয় জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ১৫ রান তুলে নেয়। সঙ্গত কারণেই ম্যাচের সেরা হয়েছেন এস্থার।