নীলফামারীতে আন্তঃনগর তিতুমীর এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় আবু তালহা তালেব (৫০) নামে এক পল্লী চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (৩ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ১টার দিকে জেলা সদরের সোনারায় ইউনিয়নের খয়রাত নগর রেল স্টেশনের অদূরে উলোট পাড়া অরক্ষিত রেলক্রসিং এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আবু তালহা তালেব দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার গোয়ালডিহি ইউনিয়নের হাসিমপুর গ্রামের সামসুল হকের ছেলে। দুই ভাই মোটরসাইকেলে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার শিকার হন। এ সময় তার ছোট ভাই মোটরসাইকেলচালক ওমর ফারুক (৪০) আহত হন। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি গেছেন তিনি। সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ওসি মো. শফিউল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুরে উলোটপাড়া অরক্ষিত রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় তাদের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয় রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটিগামী আন্তঃনগর তিতুমীর ট্রেন। এতে মোটরসাইকেল আরোহী দুই ভাই ছিটকে সড়কে পড়ে যান। স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে নীলফামারী জেনালের হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তালেবকে মৃত ঘোষণা করেন।
তালেবের ছোট ভাই নলবাড়ি দাখিল মাদ্রাসার সুপার আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘গরু কেনার উদ্দেশ্যে দুপুর ১২টার দিকে ছোট ভাই ওমর ফারুকের মোটরসাইকেলে চড়ে নীলফামারীর গরুর হাটে আসার সময় ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলে মারা যায়।’
নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। আমরা তাকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি।’
রেলওয়ে থানার ওসি মো. শফিউল ইসলাম বলেন, ট্রেনের ধাক্কায় মোটরসাইকেল থেকে পড়ে ওই চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় তার ভাই ফারুক গুরুতর আহত হন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ ডিসেম্বর সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের বৌবাজার রেলক্রসিংয়ে তিন শিশু ও এক যুবকসহ চার জন নিহত হন। চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি দারোয়ানি শাহপাড়া রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় উত্তরা ইপিজেডের চার নারী শ্রমিক নিহত হন। গত ১৮ মার্চ লিমন ও রবিবার আবু তালহা তালেবসহ এ পর্যন্ত ১০ জন নিহত হলেন।